avertisements 2

সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের এজিএমের তারিখ পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১০ এএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের ২০ জুনের এজিএমের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং  নতুন সদস্য পদের জন্য আবেদন ও নবায়নের জন্য ২০ আগস্টে পর্যন্ত  সময় বাড়ানো হয়েছে।  সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় এই সিদ্বান্ত নেওয়া হয়৷ গতকাল স্থানীয় সময় ১৬ জুন ২০২১ (বুধবার) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩ জনের মধ্যে ৯ জন (সংখ্যাগরিষ্ঠ) সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন ৷ এই সময় সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের চলমান সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৷ সর্বসম্মতিক্রমে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিটির বিশিষ্টজনদের  সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন ৷

এছাড়া কতিপয় বিপথগামী সদস্য কর্তৃক কাউন্সিলকে কুক্ষিগত করা এবং তাদের নেয়া অগঠনতান্ত্রিক  কার্যকলাপের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৷ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কথিত সভা ও তাদের সকল সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে সর্বসম্মতিক্রমে আখ্যাা দেওয়া হয় এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী সকল কার্যকালাপ প্রত্যাখান করা হয় ৷ 

সভায় চলমান সংকট নিরসনের জন্য ২০ জুনের  সাধারন সভার (এজিএম) তারিখ পরিবর্তন   ১৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয় ৷নতুন সদস্য গ্রহন ও নবায়নের জন্য আগস্টের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারন করা হয় ৷ সংগঠন বিরোধী কাজে জড়িত বিপথগামীদের পুনরায় শোকজ করে তাদের সদস্যপদ ও অন্যান্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ৷ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  আউয়াল খানকে সংগঠনের  সাধারণ সম্পাদকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব  হয়েছে৷

সংগঠনের গৃহীত সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাউকে নাম ও লোগো ব্যবহার না করতে কঠোরভাবে হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে ৷ নতুন সদস্যদের আবেদন পর্যালোচনা করার জন্য পর্যালোচনা কমিটি গঠনের  প্রস্তাব করা হয়েছে ৷

সংগঠনের সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্যের পদত্যাগের ইমেল পর্যালোচনা করে তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে পদত্যাগ পত্রগুলো নাকচ করে দেয়া হয়৷ এবং তারা সকলে নিজ নিজ পদে বহাল আছেন বলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷

সংগঠনের সভাপতি ড. এনামুল হক স্বীয় দায়িত্ব গ্রহণ করায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদ বিলুপ্ত করা হয় ৷ পাবলিক অফিসার হিসেবে সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীমকে আগামী চার বছরের জন্য এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত পর্যন্ত দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে ৷পাশাপাশি উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব নমনীয় হয়ে একসাথে কাজ করার জন্য  বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী সদস্যদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে ৷ সভাপতি ড. এনামুল হক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন,আমরা সবাই এক ৷ সবাই ভাই ভাই,মিডিয়ার মানুষ ৷ আশা করি সংকট কেটে যাবে ৷

সভায় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি ও পাবলিক অফিসার আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীম, সহ সভাপতি শিবলি আবদুল্লাহ,আউয়াল খান (নব নিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক),মাকসুদা সুলতানা (কোষাধ্যক্ষ), কার্যকরী পরিষদের সম্মানিত সদস্য ড.ফজলে রাব্বি, মিজানুর রহমান সুমন(প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক),নামিদ ফারহান (সাংস্কৃতিক সম্পাদক) ও আসিফ ইকবাল (মিডিয়া ও কমিউনিকেশন সম্পাদক) ৷ এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সে (সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী) উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ড.এনামুল হক ৷ 

পাবলিক অফিসার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্ধারিত সময় তাদের সদস্য নবায়ন করেননি বলে তারা সংগঠনের কেউ নয়  বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের দাবীর প্রতি  দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে  নেতৃবৃন্দ জানান, নবায়ন না করলেও বার্ষিক সাধারন সভার আগে কারো সদস্য পদ বাতিল হয় না। এছাড়া গত ৭ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এজিএমে শুধুমাত্র আগের সদস্যরা ভোট দিতে পারবে বলে সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। তাই কেউ সদস্যপদ নবায়ন না করলেও আগামী  এজিএম পর্যন্ত সদস্য থাকবেন এবং ভোট দিবেন। তাই যারা গুলো নিয়ে  বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা গঠনতন্ত্র না মেনে মনগড়া প্রলাপ বকছেন।তাদের সংগঠন পরিচালনার যোগ্যতা ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন আছে।   


সভাপতি এনামুল হক, সহ সভাপতি শিবলী আবদুল্লাহ, কোষাধক্ষ্য মাকসুদা সুলতানা, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন সম্পাদক আসিক ইকবালের পদত্যাগের ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ বলেন, তাদের পদত্যাগের অভিপ্রায় একটি দূঃখজনক ঘটনা। কারন উপরেল্লিখিত ব্যাক্তিগন সংগঠনটি গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।  তাদের পদত্যাগের  অভিপ্রায় এর জন্য ঐ বিপথগামী ব্যাক্তি ও তার অনুসারীরা দায়ী। তারা বিষয়টি মিমাংসা না করে সংগঠনকে কুক্ষিগত করতে লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত স্হাপন করে, সংগঠনের ভাবমূর্তি ধ্বংসের নোংরা উৎসবে মেতে উঠেছে। সাধারনত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় পদত্যাগপত্র নিয়ে সিদ্বান্ত নিতে হয়।কিন্তু গত ৭ই জুন বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের রাতের আধারে করা কথিত সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির  মাত্র ৪ জন সদস্য উপস্হিত ছিলেন । গঠনতন্ত্র অনুসারে কোরাম পূরনে ১৩ সদস্যের কমপক্ষে ৭ জনকে উপস্হিত থাকতে হয়। এমনকি কোরাম পূরনের চেষ্টা করতে গিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির নিস্ক্রিয় একজন সদস্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে আসা হয় এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নয় এমন ব্যাক্তিকে কথিত সভায় রেখে দল ভারী করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়। এরপর তারা তাদের ইচ্ছামতো বিভিন্ন সিদ্বান্ত গ্রহন করে। সংগঠনকে কুক্ষিগত করতে বিপথগামীরা এখানেই থেমে থাকেনি। সভার বৈধতা আদায়ের জন্য তারা দলবল সহ গুরুতর অসুস্হ তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি ও পাবলিক অফিসার আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীমের বাসায় হঠাৎ হাজির হয়ে তার অসুস্হাকে বিবেচনায় না নিয়ে কথিত সভার সিদ্বান্ত গুলোতো স্বাক্ষর দিতে অবিবেচকের মতো প্রবলভাবে মানসিক চাপ দিতে থাকে। কিন্তু  ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তার সিদ্বান্তে অবিচল থাকেন। তিনি নতুন করে কার্যনির্বাহী সভা আহবানের অনুরোধ করেন। কিন্তু ঐ বিপথগামীরা ভারপ্রাপ্ত সভাপতির আহবান উপেক্ষা করে ক্রমগত  অবৈধ কার্যক্রম ও মিথ্যা সংবাদ অব্যাহত রাখে।তাই  পদত্যাগপত্র  গ্রহন করার তাদের দাবীর কোন আইনগত ভিত্তিতে নেই কারন  তাদের সভা করার বৈধতা ছিলো না এবং তারা কোরাম পূরনও করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকের  পদত্যাগপত্র নাকচ করে দেয়া হয়ছে৷ এবং তারা সকলে নিজ নিজ পদে বহাল  সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটিই গঠনতন্ত্র সম্মত।

নেতৃবৃন্দ আরো জানান, আজকের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রমানিত দুই একজন ক্ষমতা আর পদলোভী ছাড়া দুই  তৃতীয়াংশ'র বেশী কার্যনির্বাহী সদস্য এক এবং ঐক্যবদ্ধ।  তারা সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলকে কুক্ষিগত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের যে কোন অপতৎপরতা রূখে দিতে সাংগঠনিক এবং আইনগতভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এরপরও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের ক্রমাগত মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডায়  আমরা বিস্মিত।  তাদের কার্যক্রম গোয়েবেলসকে হার মানিয়ে দিয়েছে  ।  এভাবে মিথ্যাচার করা অব্যাহত রাখলে অচিরেই তারা কমিউনিটি দ্বারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। 

নেতৃবৃন্দ,  সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের এজিএমকে সুন্দর ও সাফল্য মন্ডিত করার জন্য কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের একান্ত সহায়তা কামনা করেন।

avertisements 2