avertisements 2

কক্সবাজারে এজলাসের সামনে বিচারপ্রার্থীকে পেটালেন ডিসি অফিসের কর্মচারী!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৫২ এএম, ৬ জানুয়ারী, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪০ পিএম, ২৬ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২৪

Text

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আদালতে এক বিচারপ্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আদালত কার্যালয়ে ঘটনা ঘটে। এর প্রতিকার চেয়ে আহত বিচারপ্রার্থী অক্ষয় কুমার দে ডালিম (৩০) জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে ডালিম উল্লেখ করেন, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার (ডালিমের) বাবা বাদী হয়ে দায়ের করা মিস মামলার ধার্য দিন ছিল রোববার। ম্যাজিস্ট্রেট বসার অপেক্ষায় এজলাসের সামনে করিডোরে ফাইল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এমন সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী উত্তম কুমার দে তাকে হঠাৎ উপর্যুপরি কিল ঘুষি মারতে থাকেন।

একপর্যায়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তার ভাই শিক্ষানবীশ আইনজীবী পরিধন কান্তি দে ও উপস্থিত বিচার প্রার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় অভিযুক্ত উত্তম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকিও দেন।

পূর্ব পরিচয় থাকলেও উত্তমের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই এবং তাদের মামলার প্রতিপক্ষও নন। তবে, ডিসি অফিসের প্রভাব থাকায় বাবার মামলার প্রতিপক্ষের ‘ভাড়াটিয়া’ হিসেবে এ হামলা করেছে।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্প্রতি নৈশ প্রহরী পদে যোগ দেন মহেশখালীর উত্তম কুমার দে। পদবী নৈশপ্রহরী হলেও অফিস সহকারীর মতোই সারাদিনই তদবিরসহ নানা অফিসিয়াল কাজ করেন উত্তম। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে ডিসি অফিসের সিসি ক্যামরায় ধারণকৃত ফুটেজ চেক করারও দাবি জানান ডালিম।

মারধরের শিকার ডালিমের বাবার মিস মামলার কৌশলী অ্যাডভোকেট বাপ্পী শর্মা বলেন, কোনো আদালতের এজলাস কক্ষের সামনে অপেক্ষারত বিচারপ্রার্থীর ওপর হামলা আইনের বরখেলাপ। জেলা প্রশাসনের কর্মচারী কর্তৃক সে হামলার ঘটনা চাকরি বিধিও লঙ্ঘন। আইন ও বিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার কঠিন বিচার হওয়া দরকার।

অভিযুক্ত উত্তম কুমার দে হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিছুদিন আগে ধর্মীয় এক অনুষ্ঠানে ডালিমের হাতের কুনইয়ের আঘাত পাই। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে ইচ্ছে করেই আমাকে আঘাত করেছে ডালিম। সেদিনের প্রতিশোধ নিয়েছি আজ।

তবে বিচারকের এজলাসে আসা বিচারপ্রার্থীকে ডিসি অফিসের কর্মচারী হিসেবে হামলা করা কতটুকু সমীচীন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাগের মাথায় করেছি। পরে বুঝেছি এটা ভুল হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নাজির স্বপন পাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এটা খুবই গর্হিত কাজ হয়েছে। ডিসি বরাবর কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিধি মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, খবরটি জানা ছিল না। যেহেতু লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে সেহেতু তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নৈশপ্রহরী হলেও দিনের বেলায় অফিসের নানা কাজ উত্তম করেন বলে স্বীকার করেন এডিসি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2