শুধু মাধবীর জন্য -২২
মো: আসাদুজ্জামান
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
খুব গোপনে বুকের ভেতর বৃষ্টি নামে রোজ, রক্ত বৃষ্টি ! হৃদয়ে রক্তক্ষরণের লাল বৃষ্টি ভিসুভিয়াষের অগ্ন্যুৎপাতের শিখার রঙে আমাকে প্রতিবাদের মিছিলে ডাকছে, ভেঙে যাওয়া স্বপ্নগুলো আমাকে প্রতিশোধের ভাষা শেখাতে চাইছে ! ভল্গা কিংবা পদ্মার ঢেউয়ের মত নাড়া দিয়ে যাচ্ছে আমার মন ! আমি দ্বিধান্বিত , হেরে যাবো না হারিয়ে দেবো এই দ্বিধায় ! বৃষ্টির তো দোষ নেই, কান্নাতে ঝরবেই , থোকা থোকা স্মৃতিগুলো লোনা জলে ভাসবেই!! তাই, ধ্বংস না সৃষ্ঠির উল্লাসে নিজেকে সমর্পন করবো সে দ্বিধায় যাপিত জীবনে দ্বগ্ধ হচ্ছি মাধু, প্রিয়তমা আমার !!
তুমি হয়তো জানো যে গীবতের বাজারে
ভদ্রতার দাম নেই , কেনাবেচার নিক্তিতে
ভালবাসা হারবেই!! হয়তো সে কারনেই আমার ভালোবাসারা হেরে গেছে, হারিয়ে গেছে, তুমি কেনা বেঁচার নিক্তিতে বিক্রি হয়ে গেছো অজানা কারও নি:স্বাসের খুব কাছাকাছি ! কিন্ত আমার নির্মল, শ্বেত শুভ্র ভালোবাসার কাছে ঐ নিক্তিতে কেনা বেঁচার নিশ্বাস মূল্যহীন, একদিন বুঝবে, কিন্ত বড্ড দেরী হয়ে যাবে মাধু ! তুমি বুঝবেই যে টাকাই জীবনের সব নয়, প্রেমই শ্বাসত: সুন্দরের প্রতীক, আমিই সেই শ্বাসত: সুন্দর, আমিই শ্বেত শুভ্র, অন্য কেউ নয় !
মাধবী, তুমি কি একজন সদ্য পদত্যাগী মন্ত্রীর কয়েকটি কথোপকথনের ভিডিও শুনেছো ? লোকটা কিন্ত দেখতে ঠিক মানুষের মত, তবে তার কথাগুলোই মানুষের সাথে তার পার্থক্য গড়ে দেয় ! তার কথাগুলো ঠিক মানুষের নয়, মনুষ্যত্ব্র্রের নয়, মানবিকতার নয়, নৈতিকতার নয় ! কথাগুলো কোন অসভ্য, জানোয়ার, ইতর, পশুর মত কর্কশ, বিবেক বোধহীন, অজ্ঞ, অনভিজ্ঞ কোন শয়তানের কন্ঠের মনে হয়েছে ! আজ এক বন্ধু ফোনে জানতে চাইলো যদি শয়তানের কোন প্রতিচ্ছবি আঁকতে বলা হয় তাহলে আমি কার ছবি আঁকবো ? আমি সাথে সাথে উত্তর দিলাম , শয়তানের ছোট্ট বাচ্চার ছবি আঁকতে পারবো , যার মাথায় চুল নেই, যে বাংলাদেশের কিছুই পরোয়া করে না, যার কাছে ক্ষমতা চিরস্থায়ী , তাঁর ছবি ! কিন্ত তাঁর মায়ের ছবি আঁকতে পারবো না, মাফ এবং দোয়া দুটোই চাই বলে পার পেলাম ! এ বিষয়ে বেশী কথা না বলাই শ্রেয় ! মাধু, প্রিয়তমা আমার, নাজিম হিকমতের জেলখানার চিঠির উপমায় ব্যাক্ত প্রেয়সীর মত তুমি আমার কোমল প্রাণ, আমার মৌমাছি চোখ তুমি , আমার কল্পনার সব রং তুলি দিয়ে ভালোবাসার প্রগাঢ় প্রলেপ আঁকি নিত্য বাসরে শুধু তোমার জন্যই ! সেই তুমিই প্রতিদিন প্রশ্ন হয়ে ঘুরেফিরে আমার মনের দূয়ারে উঁকি দাও, আসো, যতোটা না আসলেও চলে ! তুমি কি মরীচিকা না ধ্রুবতারা ? তুমি কি আমার ভুলে যাওয়া কবিতা ? কিছুই ভাবতে পারছি না ! শরীর ভালো নেই, মন ভালো নেই, দেশ ভালো নেই, প্রিয়জনেরা কেউ ভালো নেই ! এততিছু ভালো না থাকার মাঝেও তুমি ভালো আছো সেটাই কি কম কথা ? ভালোবাসাকে বাজারে ফেরী করে বিক্রি করার পসরা বানিয়ে ভালো আছো এটাই কি কম পাওয়া বলো ?
গানগুলো শুনছি, দু’গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছে , রক্তবৃষ্টি নয়, রক্ত মাংসের মানুষের অশ্রু, একজন প্রতারক প্রেমিক পুরুষের হৃদয় ফাটা হাহাকারের কান্নার পানি ! পারলে শুনে দেখো , উপহাস করা কিংবা আমাকে ঠকানোর উপাদান পেয়ে যাবে , তোমার মুচকি হাসির খোরাক হবে দেখে নিও !!!!
বেদনা মধুর হয়ে যায়, তুমি যদি দাও ; শাওনও রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে; গভীর হয়েছে রাত; বধুয়া আমার চোখে জল এনেছে বিনা কারনে; আমার একলা আকাশ থমকে গেছে ; কতদিন দেখিনি তোমায়….