অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেপ্তারের সময় মাথায় লাথির জন্য পুলিশ বরখাস্ত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৫৫ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় ভিক্টোরিয়া রাজ্যের রাজধানী মেলবোর্নে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের সময় মাথায় সজোরে লাথি মারার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।মানসিকভাবে অসুস্থ ৩২ বছরের ওই ব্যক্তি কোমায় আছেন। তার চিকিৎসা চলছে। তিনি আইসিইউতে আছেন। তার পরিবার এ ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
মেলবোর্নের একটি সড়কে গত রোববার এ ঘটনা ঘটে। মনরোগের কারণে ওই ব্যক্তি একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার তিনি হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গেলে হাসপাতালকর্মীরা পুলিশকে ফোন করে।
পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের সময় এক পথচারী মোবাইলে পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ওই ব্যক্তির মাথায় সজোরে লাথি মারেন এবং তার পরপরই কর্মকর্তারা তাকে মাটিতে চেপে ধরে।
গ্রেপ্তারের ভিডিও অনলাইনে প্রকাশের পরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া জুড়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানিয়েছে, তাদের একটি ইউনিট এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত দুই মাস ধরে মেলবোর্নে কঠোর লকডাউন চলছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের লকডাউনের বিধিনিষেধ পালনে বাধ্য করতে পুলিশকে নজিরবিহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে পুলিশ চাইলেই যে কাউকে লকডাউন ভাঙার অপরাধে জেল-জরিমানা করতে পারে।
কিন্তু রোববারের এ ঘটনা লকডাউন বিধি লঙ্ঘনের সঙ্গে মেলানো যায় না। কারণ ওই ব্যক্তি আগে থেকেই মনরোগের কারণে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
ভিক্টোরিয়া পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারের সময় ওই ব্যক্তি উদভ্রান্তের মত আচরণ করছিলেন এবং এক পুলিশ কর্মকর্তাকে আঘাত করেন।
আসলে কী ঘটেছিল?
‘সেভেন নিউজ টিভি’ চ্যানেলে প্রচার করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটছিলেন এবং পুলিশের গাড়ির সামনে গিয়ে দুই বাহু দোলাতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তিনি ঘুরে দাঁড়ান এবং গাড়ির সামনে থেকে সরে যেতে শুরু করেন। ওই সময় পুলিশের গাড়ি পেছন থেকে তাকে ধাক্কা মারে।
কয়েক মিনিট পরের অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক পুলিশ কর্মকর্তা ওই ব্যক্তির উপর দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাকে উঠে দাঁড়ানো থেকে আটকাতে তার মাথায় লাথি মারতে উদ্যত হয়েছেন। তারপরই ওই পুলিশসহ আরো পাঁচ কর্মকর্তা ওই ব্যক্তিকে মাটির সঙ্গে চেপে ধরে।
পরিবার কী বলছে?
ওই ব্যক্তির বাবা পুলিশের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে গ্রেপ্তারের সময় অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ করেছেন।
তিনি দ্য হেরাল্ড সান পত্রিকাকে বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে ভিডিওটি আমেরিকা বা বৈরুতের।
‘‘পুলিশ তো আইনের ঊর্ধ্বে নয়—তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। সে কোনো রকম জোরাজুরি করেনি, তারপরও তারা তাকে লাথি মেরেছে। এটা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি।”