চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত খোলার সম্ভাবনা নেই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
এই বছর ভ্রমণকারীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুরোপুরি খোলার সম্ভাবনা নেই। দেশটির বেশির ভাগ মানুষকে করোনার টিকার আওতায় আনা গেলেও সংক্রমণ রোধ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এ কথা জানান দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের সেক্রেটারি ব্রেনডেন মারফি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পকে (এবিসি) বলেছেন, ‘অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেলেও আমরা জানি না এটি আদৌ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবে কি না।’ গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ব্রেনডেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এ বছরও সীমান্তের এই কড়াকড়ি বহাল থাকবে।’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ফাইজারের টিকা নেওয়ার পরও নরওয়েতে কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাই অস্ট্রেলিয়া একটু সময় নিতে চাইছে।
গত বছরের মার্চ মাস থেকে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়ার হাজার হাজার নাগরিক বিদেশে আটকা পড়েছেন। কেউ ফিরতে চাইলে তাঁকে হোটেলে নিজের খরচে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এদিকে এ বছরের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হতে পারে, এমনটা বলার পর অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস কান্তাস এ মাসের শুরুর দিকে বুকিং নিতে শুরু করেছিল। তবে তারা এটিও বলেছিল, পুরোটাই নির্ভর করছে দেশটির সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর।
লকডাউন, সর্বোচ্চ মাত্রায় পরীক্ষা ও কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মধ্য দিয়ে অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়া বেশ সফলভাবে
অস্ট্রেলিয়ায় এই ভাইরাসে ২২ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী মাস থেকে অস্ট্রেলিয়ায় টিকাদান শুরু হবে। দেশটিতে ফাইজার ও অক্সফোর্ডের টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।