অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪৪ এএম, ৩ জুন,মঙ্গলবার,২০২৫

আগামী ২৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজ্য সংসদের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী প্রার্থী লড়াই করায় রাজ্যজুড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে উৎসবের আমেজ। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ার তরুন রাজনীতিবিদ কমিউনিটির প্রিয় মুখ মুহাম্মদ রানা ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি থেকে রকডেল ইলেকটরেটে মনোনয়ন পেয়েছেন। এক সময়ে সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের প্রানকেন্দ্র বলা হত রকডেলকে। কালের বিবর্তনে রকডেলে বাংলাদেশীদের উপস্হতি কমলেও এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশীর বসবাস রয়েছে। আছে বাংলাদেশী কমিউনিটি দ্বারা পরিচালিত স্কুল, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রকডেলের ইতিহাসে এই প্রথম স্টেট নির্বাচনে এলাকাটি থেকে কোনো বাংলাদেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর তাই রকডেলে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে সাজ সাজরব বিরাজ করছে।
রকডেল ইলেকটরেটি ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি প্রধান প্রতিপক্ষ লেবার পার্টির দূর্গ হিসাবে পরিচিত হলে ২০১১ সালের নির্বার্চনে এই আসন থেকে লিবারেল পার্টি জয়লাভ করে ছিলো। এই বিষয়ে মুহাম্মদ রানা বিশ্বাস করেন তার জয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারেন বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ান ভোটাররা। রকডেল তথা আশেপাশের সাবারবের বাংলাদেশিদের পূর্ণ সমর্থন পেলে নির্বাচনে ভালো ফলাফল করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এমপি হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন।
মুহাম্মদ রানা তার রাজনৈতিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রকডেলবাসী তথা প্রবাসীদের সেবায় এগিয়ে আসতে চান। তাকে নিয়ে এমনই নানা আশায় বুক বাঁধছেন শুধু রকডেলরই নয়, অন্যান্য এলাকার বাংলাদেশিরাও। অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আবির রাফসান বলেন, বিদেশে এসে প্রথমবার বুঝেছি দেশের প্রতি ভালোবাসা। প্রতিদিনই দেশকে মিস করি। শুনেছি এবারের এনএসডব্লিউ
এর রকডেল থেকে লিবারেল পার্টি বাংলাদেশি পার্থী মুহাম্মদ রানাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এটি সত্যি আমাদের জন্য সুখবর। বাংলাদেশি কেউ অস্ট্রেলিয়ার মূল ধারার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন-বিষয়টি আমাদের ইমেজকে পজিটিভলি প্রভাবিত করেব বলে আশা করছি।
মনোনয়ন নিশ্চত হওয়ার পর ভোটারদের দ্বারে দ্বারে কড়া নাড়ছেন রানা, তুলে ধরছেন তার নির্বাচনী অঙ্গীকার। লিবারেল পার্টির সমর্থক, বাংলাদেশি এবং স্হানীয় নাগরিকদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছেন, তারা যেন ২৫ মার্চ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাকে একটি ভোট দেন। তাহলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
নির্বাচিত না হলেও পার্টির পক্ষ থেকে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করে যাবেন বলে জানান। আগামীর প্রজন্মদের নিজেদের অধিকারের কথা বলার জন্য মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার কথা বলেন।
মুহাম্মদ রানা ৪ লাখ পোস্ট গ্রাড্যুয়েট শিক্ষার্থীর সংগঠন কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়ান পোস্ট গ্রাড্যুয়েশন অ্যাসোসিয়েশনস এর বোর্ড অব ডিরেক্টর এর প্রতিনিধি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার গন্ডি পেরিয়ে ২০ বছর আগে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য তিনি পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। বিশ্বের সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় চার্লস ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করেন মোহাম্মদ রানা। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট মেম্বারও তিনি। সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে গবেষণা ও পিএইচডি করছেন এই বাংলাদেশি।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

অস্ট্রেলিয়ায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ার সিনেটরদ্বয়

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

লাকেম্বা মসজিদে অনলাইন হুমকি নিয়ে তদন্ত চলছে
