‘দূষিত’ নোংরা বরফের শরবতে প্রাণ জুড়াচ্ছেন শহরের মানুষ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:৩৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। বাইরে বেরোলেই গলা শুকিয়ে হয়ে যাচ্ছে কাঠ। তৃষ্ণা মেটাতে মন চায় বরফ ঠান্ডা এক গ্লাস শরবত। কাঠফাটা গরমে ঠান্ডা বরফ দেওয়া এক গ্লাস শরবতে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের এই সময়ে সড়কের পাশে, মোড়ে মোড়ে বসেছে শরবতের দোকান। বিক্রি হচ্ছে লেবু, বেলের শরবত ও আখের রস। এ ছাড়া পেঁপে, আনারস, মাল্টা, আঙুরসহ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলের জুস। আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও ঠান্ডার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ হিমায়িত করার বরফ। রিকশার পাটাতনে কোনোরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই আনা হচ্ছে বরফের বড় খণ্ড। নামানোর সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ফিল্টারের মধ্যে। এর সঙ্গে পাশের ড্রাম থেকে মগ ভরে দেওয়া হচ্ছে পানি। সবশেষ পলিথিন থেকে বের করে হাতের মুঠোয় ভরে দেওয়া হচ্ছে চিনি-লবণ। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ‘দূষিত’ বরফ-পানির অস্বাস্থ্যকর শরবত।
তীব্র গরমে একটু স্বস্তির আশায় রাস্তার পাশের এসব শরবত বা জুসের দোকানে হরহামেশাই ভিড় করছেন পথচারীরা। ক্লান্তি দূর করতে শরবত, আখের রস বা জুসে তৃষ্ণা মেটানো এই বরফ কোথা থেকে আসছে তা জানেও না ভোক্তা।
জানা গেছে, ওয়াসার সাপ্লাইয়ের পানি দিয়ে, মাছসহ পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয় এ বরফ। বরফ মিশ্রিত এসব পানিও গরমে দেহের ক্ষতি করে, তার ওপরে দূষিত পানির ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ।
মাছ বাজারের পানি আর ছাগলের মল-মূত্রে একাকার নোংরা পরিবেশে রাখা বরফ কিনে তা দিয়ে আখের রস করছিলেন ফার্মগেট এলাকার এক বিক্রেতা, আরটিভির ক্যামেরা দেখেই পালানোর চেষ্টা করেন তিনি।
একজন অ্যালোভেরার শরবত বিক্রেতা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় সবসময় বরফ ব্যবহার করি না। তবে গরমে তৃষ্ণা মেটাতে বরফের চাহিদা থাকায় ব্যবহার করছেন তিনিও।
শরবত পান করা ক্রেতারা বলেছেন, গরমে হাতের নাগালে শরবত পেয়ে আমরা কিনে খাই। কিন্তু এসব বরফ কোথা থেকে আসে তা জানি না।
নগরবাসী বলছেন, দূষিত পানির এই বরফ মিশিয়ে নানা ধরনের পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এজন্য সরকারের তদারকির অভাবকেই দায়ী করছেন তারা।