সিলিন্ডার যেন গ্যাসবোমা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ মার্চ,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪১ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে বেরিয়ে যাওয়া গ্যাস জমে সম্প্রতি বাড়ির বেজমেন্ট ও আবদ্ধ স্থানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ রকম ঘটনা আরও বাড়বে। কারণ, আবাসিক গ্যাস-পাইপলাইনে ছিদ্রের অভাব নেই। একইভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণও থেমে নেই। পরিবহন ও রান্নার কাজে সিলিন্ডারের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। রান্নার কাজ ও পরিবহনে এ দুর্ঘটনা এতটাই বেড়েছে যে অনেকে সিলিন্ডারকে গ্যাসবোমা হিসেবে বলে থাকেন। মানহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি না বাড়ালে সিলিন্ডার গ্যাসেও প্রাণহানি মারাত্মকভাবে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
জ্বালানি তেলের চেয়ে ব্যয় কম হওয়ায় পরিবহনে সিএনজি (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) অনেক জনপ্রিয়। পাইপলাইন গ্যাস সংযোগ বন্ধ। রান্নার কাজ ও পরিবহনে এলপিজি (তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের ব্যবহার ব্যাপক বাড়ছে। নিয়মিত তদারকির অভাবে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাড়িতে ও রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস থেকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২০২২ সালে ৯০টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একই বছর এই সংস্থার হিসাবে গ্যাসলাইন ও গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে ৭৬৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার, পর্যাপ্ত তদারকির অভাব, সিলিন্ডার নিয়মিত পরীক্ষার অভাব, ব্যবহারে অসচেতনতা, রক্ষণাবেক্ষণে দুর্বলতার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যানবাহনের প্রায় ৮০ শতাংশ সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষা ছাড়াই চলছে। জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের একজন পরিচালক সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মানসম্মত যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত, তাদের কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে। নতুবা শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিবেশদূষণ কমাতে যানবাহনে গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। ব্যবহার দ্রুত বাড়ে ২০০৫ সালের পর। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (আরপিজিসিএল) তথ্যমতে, গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ৫ লাখ ৭ হাজার গাড়ি সিএনজিতে রূপান্তর হয়েছে। রান্নার কাজে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার শুরু হয় ২০০৫ সালে। পাইপলাইনের গ্যাসের ঘাটতির কারণে ২০১৫ সালের পর এটি দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দেশে এখন প্রায় সাড়ে তিন কোটির বেশি এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে। বাসাবাড়ি ছাড়াও পরিবহনে ও ক্ষুদ্র শিল্পের জ্বালানি হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছে অনেকেই। এ দুই খাতের বাইরে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ৩০ হাজারের মতো।
দুর্ঘটনা বাড়ছে: গত সোমবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজে আগুন ভয়াবহ হয়ে ওঠে। দগ্ধ হয়ে চার যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন সাত যাত্রী। এর আগে ৭ মার্চ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই সন্তানসহ মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় সিলিন্ডারে অক্সিজেন রিফিল করার সময় বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হন। এভাবে সিলিন্ডারজনিত বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বাড়ছে অকালমৃত্যু।
যে কারণে দুর্ঘটনা: এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার জীবনকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি বাড়িয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার, অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ ব্যবহারের ফলে বিপদ বাড়ছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ব্যবসায়ী কোনো অনুমোদন ছাড়া নিজেরাই সিলিন্ডার ভরে গ্যাস বিক্রি করছে। এটাকে বলা হচ্ছে ক্রস ফিলিং। এটি অনিরাপদ। কারণ, এলপিজি কোম্পানিগুলোতে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা হয়। সিলিন্ডার পরীক্ষা করে বাল্ব ও সেফটি ক্যাপ বসানো হয়। আর ক্রস ফিলিংয়ে হাতের সাহায্যে বাল্ব বসানো হয়। তাই সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ঈদগাহ কলেজ রোডে বিভিন্ন বড় কোম্পানির সিলিন্ডার থেকে ছোট ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই দোকানের কর্মীরা দগ্ধ হন।
ব্যবহারে অসতর্কতার কারণে সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে বিস্ফোরক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, পরিবহনের সময় সিলিন্ডার কাত করে রাখলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। ট্রাকে তোলার সময় অনেক সময় শ্রমিকরা সিলিন্ডার ছুড়ে দেয়। এতে সিলিন্ডারের নিরাপত্তা বেষ্টনী দুর্বল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
এলপিজি সিলিন্ডারের দুর্ঘটনার বড় কারণ মানহীন রেগুলেটর ও পাইপের ব্যবহার। সিলিন্ডারের বাল্ব কোম্পানিগুলো সরবরাহ করে। রেগুলেটর ও পাইপ গ্রাহক নিজে ক্রয় করে। এসব পণ্যের মান সম্পর্কিত কোনো নীতিমালা নেই। রেগুলেটরের ত্রুটির কারণে গ্যাস লিকেজ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সালে এলপিজি সিলিন্ডারজনিত ১০ ঘটনার মধ্যে ৭টিই ছিল রেগুলেটর-সংক্রান্ত।
দেশজুড়ে এলপিজি ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটলেও তা তদারকিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সিলিন্ডার পরীক্ষণে মাত্র একটি পরীক্ষাগার রয়েছে, তাও চট্টগ্রামে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিলিন্ডার নিরীক্ষা করে।
সিলিন্ডার ব্যবহার আসলে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ– জানতে চাইলে এলপিজি কোম্পানির একজন ব্যববস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাজারে তাঁদের ৫০ লাখ সিলিন্ডার আছে। প্রতিটির মেয়াদ ২৫ থেকে ৩০ বছর। এই মেয়াদকালে তিনবার সিলিন্ডারের নিরাপত্তা পরীক্ষা হয়। প্রথমে ১০ বছর, এরপর ১৫ বছর, এরপর পাঁচ বছর পর। এ ছাড়া প্রতিবার গ্যাস ভরানোর সময় তাঁরা হাইড্রো টেস্ট করেন। কোনো সমস্যা দেখলে সেই সিলিন্ডার বাতিল ঘোষণা করেন। তাঁর মতে, দুর্ঘটনা ঘটে ব্যবহারে অসচেতনতা ও অসাধু ডিলারদের অসৎ ব্যবসার কারণে। তাঁর মতে, গ্রাহকরা সচেতন নন। রান্নার সময় সিলিন্ডারটি চুলার কাছে রাখা হয়। এতে সিলিন্ডার উত্তপ্ত হয়ে তার গলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। অনেক সময় গ্যাসের সংযোগে ত্রুটি থাকে, যা থেকে চুলা ধরানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
যানবাহনে দুর্ঘটনার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার দায়ী। জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাপক চাহিদার কারণে অননুমোদিত সিএনজি কনভার্সন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে অদক্ষ কারিগর দিয়ে সিএনজিচালিত গাড়ির রূপান্তর কার্যক্রম চলে, যা গাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। নিম্নমানের কম পুরুত্বের সিলিন্ডার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। নিয়মিত পরীক্ষা না করার কারণেও সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে সিলিন্ডারের ভেতরে অনেক ক্ষয় হয়ে থাকে। এই ক্ষয় থেকেও ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এ জন্য নিয়মিত সিলিন্ডারের পরীক্ষা করা উচিত। কিন্তু তা করা হয় না। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন দেশে দেড় থেকে দুই লাখ মানহীন সিলিন্ডারযুক্ত গাড়ি চলছে রাস্তায়। গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে সিলিন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লার রিভারভিউ সিএনজি স্টেশনে একটি বাসের দুর্ঘটনার তদন্তে জানা যায়. সিলিন্ডারের মাঝের অংশের পুরুত্ব কম থাকায় গ্যাস ভরার সময় চাপ সহ্য করতে না পেরে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে একজন নিহত হন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, দুর্ঘটনা ঘটে সিলিন্ডারের মানহীন সংযোগ থেকে। অনেক ক্ষেত্রে নকল সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, যা সহজে বিস্ফোরিত হয়। তিনি জানান, গাড়ি সিএনজিতে চালানোর উপযোগী করার সময় অনেকেই খরচ বাঁচাতে অননুমোদিত ওয়ার্কশপে কাজ করান, নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেন। এসব গাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার সময় সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে সিলিন্ডার পরীক্ষণের কাগজ দেখানোর নিয়ম। কিন্তু এটি মানা হয় না। তিনি অভিযোগ করেন, বিআরটিএর পরিদর্শকরা অন্যান্য কাগজপত্র দেখতে চাইলেও সিলিন্ডার পরীক্ষার সনদ চান না। ফারহান আরও জানান, অনেকে গাড়ি চালুর আগে সিলিন্ডার সংযোগ পরীক্ষা করে দেখেন না। এ ধরনের অসচেতনতার কারণেও দুর্ঘটনা বাড়ছে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় এক গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর দেখা গেছে, একটি মোটা পাইপকে সিলিন্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
দেশে রাস্তাঘাটে, মেলাগুলোতে গ্যাস বেলুন বিক্রেতারা যে সিলিন্ডার ব্যবহার করেন, তা খুবই বিপজ্জনক। মানহীন সিলিন্ডারে হাইড্রোজেন ভরতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ খুলনার লবণচরার বাগমারা এলাকায় এমন দুর্ঘটনায় গ্যাস উৎপাদনকারী মারা যান। এ-সংক্রান্ত সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর; একজন বেলুন বিক্রেতা এলপিজি সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণে সাত শিশু নিহত হয়।
সিলিন্ডার পরীক্ষায় অনীহা : গাড়ির সিলিন্ডার পাঁচ বছর পরপর পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ পরিবহন মালিক তা মানেন না। বেসরকারি একটি সিএনজি কনভার্সন ওয়ার্কশপ কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, বাজারে তাঁদের এক লাখ সিএনজি সিলিন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা করিয়েছে মাত্র ২৫ হাজার। জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, বাকিগুলো পরীক্ষার জন্য তাঁরাও কোনো উদ্যোগ নেননি।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) তথ্যমতে, দেশে সিএনজি সিলিন্ডার পরীক্ষার জন্য আটটি ল্যাব আছে। দুটি আরপিজিসিএলের আর ছয়টি বেসরকারি কোম্পানির। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নাভানা, সাউদার্ন, ইন্ট্রাকো ইত্যাদি।
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সাবেক প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম সমকালকে বলেন, ঝুঁকি কমাতে নিম্নমানের সিলিন্ডার আমদানি বন্ধ ও অবৈধ কনভার্সন সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, তাঁদের সীমিত লোকবল দিয়ে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে সিলিন্ডার নিরীক্ষা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে তাঁদের ১০৮ জন জনবল।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সমকালকে বলেন, এলপিজির ব্যবহার বেড়েছে। তাই বিস্ফোরক অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানো হবে। বিদেশি পরামর্শক দিয়ে জরিপ করিয়ে জনবৃদ্ধি এবং আধুনিক অফিস নির্মাণের প্রস্তাব অনেক আগেই জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রাশসন মন্ত্রণালয়ে আছে। সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ করছে।