avertisements 2

আউট সোর্সিং প্রতারণা, হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ৩১ আগস্ট,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৪৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

সরকারি বিভিন্ন দফতরে জনবল সরবরাহের অনুমতি পাওয়ার আগেই চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নিয়োগপত্র দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামে ওই আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নামে এরই মধ্যে দুদকে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা যায়।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবুল তালেব বিস্ফোরকদব্য আইনসহ নাশতকার অনেক মামলার আসামি। তারা পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার দামে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জনপ্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা করে আদায় করছে বলে অভিযোগ আসছে।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলায়েত হোসেন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, যারা কাজ করবে তাদের গ্যারান্টি হিসেবে এ টাকা নেয়া হচ্ছে। এটা অন্যায় কিছু নয়।

অভিযোগের সঙ্গে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কয়েকটি অডিও রেকর্ড রয়েছে ।

এতে দেখা যায়, বেলায়েত ভোলা জেলার একজন সরবরাহকারীর সঙ্গে ২৫ জন লোক নিয়োগের বিষয়ে কথা বলেন। সেখানে বেলায়েত ওই দালালের কাছ থেকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর গৃহগনণা প্রকল্পে চাকরির জন্য কোন প্লাস-মাইনাস ছাড়া ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকা ফেরতের নিশ্চয়তাও দেননি তিনি। একইভাবে পাউবোসহ অন্যান্য দফতরেও আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা করে অগ্রিম দাবি করেন বেলায়েত।

লোক নিয়োগের নামে প্রতারণার অভিযোগটি সামনে আনেন কাজী আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। দুদক ছাড়াও বিষয়টি তিনি জনস্বার্থে পানিসম্পদমন্ত্রী ও সচিব বরাবর নজরে আনেন।

অভিযোগে বলা হয়, আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেস চাকরিপ্রত্যাশী বেকারদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

গত ১৯ আগস্ট পাউবোতে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন শ্রেণির ৫৫৩ জন জনবল নিয়োগের ই-জিপি দরপত্র ডাকা হয়। সেখানে অংশ নেয় আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেস। দরপত্রে অংশ নিয়েই তারা বিভিন্নজনের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায় শুরু করে। এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার আগে কাউকে নিয়োগ দেয়া বা চাকরি দেয়ার নাম বলে অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আল-আরাফা সিকিউরিটি সার্ভিসেস সম্প্রতি পরিসংখ্যান ব্যুরোর ৬৬১ জনবলের লোয়া (লেটার অব এসপেকটেশন) প্রাপ্ত হয়। যমুনা সেভ গার্ড এবং গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের অভিযোগ তুলে রিভিউ প্যানেলে আপিল করে। পরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিপিটিইউ (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট) থেকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প থেকে আল-আরাফাহ সিকিউরিটিকে দেয়া লোয়া বাতিল করে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠান যাদের সঙ্গে চুক্তি হয়নি তারা লোক নেয়া এবং চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা সেটা অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত।

এর সঙ্গে ব্যুরো বা পাউবোর যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; একই সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

উৎসঃ   যুগান্তর

avertisements 2