avertisements 2
Text

জালাল উদ্দিন আহমেদ

গেরুয়া অভিযানে ছন্নছাড়া বাঙালী

প্রকাশ: ১১:৪১ পিএম, ১৩ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১৭ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

সর্বনাশ যা হবার তা তো হয়েই গেল। হাবভাব চলনে মনে হচ্ছে বাংলার মাটি বোধ হয় গেরুয়া চাদরেই ঢাকা পড়লো। সেক্ষেত্রে বাঙালী অস্মিতার ঝড় কিংবা বাঙালী বনাম বাহারি ইস্যু – ওসবের বালাই আর থাকলো না। শেষমেষ হিন্দুস্থানের হিন্দু আর হিন্দুস্থানী অস্মিতারই জয় হোল। তবে তা বাঙালী জাতিস্বত্ত্বার অস্তিত্ত্ব বিকিয়েই। বিকিয়ে কথাটি শ্রুতিকটু লাগলেও কোথাও যেন এর একটু গভীরতা আছে বলে মনে হয়। তারপরেও সর্বধর্মের ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত যখন একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতবাদের মৌলবাদী কট্টর রাষ্ট্রের আচরনে এগোতে চায় তখন সেই রাষ্টের ভিন্ন ভিন্ন  জাতি স্বত্ত্বার অস্তিত্ত্বের মুল্যায়ন শুন্যের কোঠায় নেমে যায়। ধর্ম তত্ত্বের গোঁড়ামীর পারদে তখন দেশের সব কিছু পরিচালিত হয়। পারতপক্ষে তখন আর সে দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ বলার অবকাশ থাকে না। 

মৌলবাদ কি? তা আমার জানা হয়নি ভাল করে। তবে এই শব্দটি শুনছি গত বিশ বাইশ বছর ধরে। বিশেষ করে মুসলিম দেশ সমূহের কতিপয় রাষ্ট্র বা তাদের রাজনীতির আচরন যখন ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় তাদের দেশ বা সমাজ চালাতে চায় বা তা বাস্তবায়ন করতে চায় তখন বুর্জুয়া গনতান্ত্রিক মোড়লরা এই মৌলবাদী সংজ্ঞাটা ব্যপকভাবে প্রচারনায় নিয়ে আসে। মুসলিম ফান্ডামেন্ট্যালিষ্ট বা মৌলবাদী হিসাবে তাদের গলায় তকমা ঝুলিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা বা একঘরে করা হয়। আজকের দিনে হিন্দু ধর্মের মৌলবাদী তত্ত্বের ঝান্ডা উড়িয়ে যখন ভারত রাষ্ট্র মৌলবাদী চরিত্রের রূপ ধারন করেছে তখন তার জন্য পশ্চিমা মোড়লরা কোন্ আতশী কাঁচের নীচে তাদেরকে ফেলবে তা আমার জানা নেই। তবে অর্থ বিত্ত ও বাজার অর্থনীতির মোহময়তায় তাদের ওই মৈলবাদী সংজ্ঞার হেরফেরও হয়ে গেছে বলে বিদগ্ধজনেরা আশংকা প্রকাশ করছেন। আন্তর্জাতিক মোড়লীপনার এসব ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতার বালাই আছে বলে মনে করার কোন অবকাশ নেই।

 আজকের দিনে এখন যারা তুরূপের তাস হয়ে গেরুয়া শিবিরে ভিড়ছেন তারা তাদের ট্রাম কার্ডটি হাতে নিয়েই মাঠে নেমেছেন। হিন্দু জাতীয়তাবাদের এই অগ্র সৈনিকদের ভাগ্যের চাকা অর্জুনের তীরের গতিতেই এখন দিল্লি মুখী। সেক্ষেত্রে হিন্দুরাজের মানচিত্র গুছিয়ে নেয়ার সেই গুজরাঠী ও মারাঠী মাড়োয়ারীরা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন বলে মনে হয়। সময়ের চক্রে আজকের দিনে গেরুয়া গায়ে জড়ানো বাঙালী বাবুরা বৃহত্তর ভারতীয় সাজার জৌলুষে কাকের ময়ুর পুচ্ছ লাগানোর ন্যায় নিজের হেঁসেলে গুজরাঠী,  অবয়বে মারাঠী এবং পুজা পার্বনের সামষ্টিক আচরনে গনপতি বাপ্পার উঠান সাজানোর আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। হয়তোবা দু একটি বড় মাপের কেন্দ্রীয় পদ দিয়ে তাদের শিহরিতও করা হবে। মোম্বাই, বাঙ্গালোর বা চেন্নাইয়ে  নিজেদের  উত্তর পুরুষদের মহান ভারতীয় হওয়ার শিক্ষা দিক্ষায় বড় করে গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন তারা। অন্যদিকে অমুক জি তমুক জি এর ফতুয়া-পৈতার মাড়োয়ারীরা তাদের আড়তদারির চৌকি গোটা বাংলার উঠানে ছড়িয়ে দেয়ার মিশনে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। বাংলাকে সাচ্চা হিন্দুস্থানী বানানোর মচ্ছ্ববে বাঙালীর জবানে আধা বসত করা হিন্দির সাথে গুজরাঠী, মারাঠী ও পাঞ্জাবী ভাষার সমাহার ঘটিয়ে তার বাঙালী স্বত্ত্বাকে শুষে নেবে। এক সময় তারা অজুহাত খুঁজে বলবে কিসের বাংলা! কিসের কি? যেসব রাজা মহারাজাদের নিয়ে তোমরা গর্ব করো সেইসব মৌর্য, পাল, সেন, গুপ্ত – ওরা তো গুজরাঠ মারাঠার আদি ব্রাহ্মন। তোমরা তো ওদেরই উত্তর পুরুষ। তাছাড়া একটি স্বাধীন বাংলাদেশ থাকতে আবার বাংলা কেন? এই নাম বদলে ফেল। মগধ, গঙ্গ, বোঙ্গা, কলিঙ্গ, পুন্ড্রু, গৌড়, হরিকল – এসবের একটাকে বেছে নাও। 

এটাই তো হওয়ার কথা ছিল। এতদিন লাগলো কেন সেটাও মাথায় ঢুকছে না। কারন বঙ্গ ভঙ্গের সেই মহা সন্ধিক্ষনে দেখা যায় কোলকাতা কেন্দ্রিক জাতপাতের মহা অধিকারিক একশ্রেনীর হিন্দু ব্রাহ্মন বৃটিশ ভারত ভাগ হওয়ার প্রাক্কালে বৃহত্তর বাংলার পশ্চিমাংশের বাঙালীদেরকে হিন্দু বাঙালী আখ্যা দিয়ে বড় লাটের কাছে নালিশের সুরে আবেদন আবদার করে হিন্দুস্থানের অন্তর্ভুক্তিতে জোর তদবির করলো। অথচ অখন্ড বাংলা সেসময় বৃহত্তর ভারতবর্ষে তার নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে সমীহ করা একটি জাতিস্বত্ত্বা ছিল। বৃটিশ ইন্ডিয়ার   “ভারত শাসন আইন ১৯৩৫” এর ক্ষমতাবলে বাংলা তার স্বাধীন স্বত্ত্বার মর্যাদা নিয়ে বৃটিশ শাসনের অধীনে ছিল। সেই শাসন নীতির অধীনে বাংলার জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছিল। ছিল তার আলাদা মন্ত্রীসভা। সংখ্যাধিক্যের বলে সে সময় বাংলার প্রথম প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন মুসলিম লীগ সমর্থিত  শেরে বাংলা একে ফজলুল হক। অলৌকিকভাবে দ্বিতীয় টার্মেও একজন মুসলমান হোসেন শহীদ সোহরোওয়ার্দী বাংলার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এটা ঘটেছিল ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ এর ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত। মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠের অবিভক্ত বাংলায় এটাই বোধ হয় হিন্দু বাঙালীদের কাছে ভীতির সঞ্চার করেছিল যে বাংলা এক থাকলে এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায় বাংলা শাসনের ছড়ি হাতে নিতে পারবেনা। সেই অশনির শংকায় শংকিত হয়েই বোধ হয় তারা বাংলা বিভাজনের এই অযৌক্তিক পথে হেঁটেছিলেন। 

একুশের এইসব দিনগুলিতে এখন ভারতীয় ওই বাংলায় বিধান সভা ভোটের সাজ সাজ রব। ১৯৫০ সাল থেকে শুরু হওয়া ভারত কাঠামোর ভারতীয় বাঙালীদের  এই রাজ্যটি ছিল বরাবরই রাজনৈতিক সচেতন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পীঠস্থান। হয়তো প্রশ্ন আসবে ৪৭ থেকে ৫০ এর দিনগুলি গেল কোথায়। নাহ! ওটাও ধর্তব্যে আসবে।  তবে তা সেই বৃটিশ ভারতের “ India ruling act-1935” এর আদলেই হবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর তকমা নিয়ে সাতচল্লিশ থেকে পঞ্চাশ সময়কালে প্রফুল্ল ঘোষ, বিধান রায়রা পশ্চিম বংগের মহা অধকারিক হয়েছিলেন কিন্তু এ নিয়ে কোলকাতা হাই কোর্টের রীটে দেখা যায় তারা খন্ডিত বাংলার প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতিই পেয়েছিলেন। কারন  ১৯৫০ সালের ভারত প্রজাতন্ত্র আইনের মাধ্যমে India ruling act-1935 বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। ফলে ধরে নেয়া যায় যে ওই সময়কালে বৃটিশ শাসনের ঐ Act এর ক্ষমতাবলেই পশ্চিম বাংলা শাসিত  হয়েছিল।  যাহোক, যা বলার জন্য আমার এই প্রয়াস তার মূল কথাই হোল বাঙালী সব সময় স্বাধীনচেতা  এবং গনতান্ত্রিক মূল্যবোধে অতুলনীয়। সাতচল্লিশের বিভাজনোত্তর ওই বাংলায় কখনোই ধর্মীয় মৌলবাদী শ্লোগান শোনা গেছে বলে শুনি নি। বাঙালী রাজনীতির নিজস্ব উঠানে বাঙালীয়ানাকেই  উচ্চকিত করে রেখেছেন তারা। সময়ের আবর্তে বাঙালী নিজের যোগ্যতা ও বিচক্ষনতায় দিল্লির সম্মানিত আসন অলংকৃত করেছেন। সর্ব ভারতীয় আঙ্গিনায় রাজনীতির নেতৃত্বও পেয়েছেন। কিন্তু কোলকাতা কেন্দ্রিক বাঙালীয়ানার উঠান বাঙালীতেই উজ্জ্বল থেকেছে।

আজকের দিনে ভারত যেহেতু ধর্মীয় রাষ্ট্রের আদলে মৌলবাদি কাঠামোয় নিজেদেরকে বিনির্মানে এগোতে চাচ্ছে তখন ধর্ম নিরপেক্ষ মনোভাবাপন্ন অগ্রসর শ্রেনীর মানুষজন বাঙালীর আপন অস্তিত্ত্বের প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন। গেরুয়া রাজনীতির হিন্দি জবানের হোমড়া চোমড়ারা যখন সাধারন বাঙালীর উঠানে বসে পাত পেড়ে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার খেয়ে তাদেরকে সাচ্চা ভারতীয় সাজার সবক দিচ্ছেন তখন আর বুঝতে বাকী নেই যে জয় শ্রীরামের অনুসারীদের পারদের উচ্চতা কোন্ পর্যায়ে থাকলে এতসব আয়োজনে তারা কোমরে গামছা বেঁধেছেন। কতটুকু গভীরতা থাকলে অন্য রাজ্যের একজন অচেনা জবানের কট্টর মৌলবাদী মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতে এসে সর্ব ধর্মের ভ্রাতৃত্বের স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন যার রাজ্যে বিধর্মী নিধনের রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠায় তিনি একজন অগ্র সৈনিক হিসাবে বিতর্কিত। কিন্তু কথা তো তা নয়। কথা হচ্ছে বাংলা ও বাঙালী রাজনীতির অহমিকা ও অস্মিতায় কোথাও যেন জং ধরেছে বলেই মনে হয়। নইলে আজকের দিনে সদ্য গায়ে গেরুয়া জড়ানো এক বাঙালী বাবু যিনি কয়েকদিন আগেও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দক্ষিন হস্ত হিসাবে দৌর্দন্ড প্রতাপশালী নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন তিনি এখন ধর্মান্ধ বিজেপির আনকোরা সৈনিক হয়ে উচ্চারন করেন “আমাদের কপাল ভাল যে শ্যামাপ্রসাদ বাবুর মত একজন নেতা আমাদের ছিল। তা না হলে তো আজ আমাদেরকে মুসলমান শাসনের অধীনে বাংলাদেশে থাকতে হোত। ঢাকা হোত আমাদের রাজধানী” ইত্যাদি ইত্যাদি। এতো সেই ছেচল্লিশ সাতচল্লিশের ভাষা! সত্যিই তো ভুতগুলো সব বের হতে শুরু করেছে। সত্যি কথা বলতে কি, তাদের এই মুসলিম ভীতি এবং সাম্প্রদায়িক জিঘাংসার ফসলই তো আজকের পশ্চিম বংগ। এবং আশুতোষ পুত্র শ্যামা প্রসাদের উত্তরসূরী তো এরাই। এই বাঙালীরাই তো আজ ধর্মান্ধ RSS/BJP কে এই সুযোগ করে দিয়েছে।  নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ করতেই গলদঘর্ম তারা। ক্ষমতার গদি পুনরুদ্ধারে বাঙালী যে পন্থায় রাজনীতির মাঠে নেমেছে তাতে করে বাঙালীর “অস্মিতা”র পুনর্গঠন তো দূরের কথা বরং বাঙালীর অস্তিত্ত্বের জড় কেটে এক শংকর জাতিস্বত্ত্বায় এই বাংলা বহমান হবে বলেই বিদগ্ধ জনেরা আশংকা প্রকাশ করছেন।

সাতচল্লিশে ভাগ হওয়া বাংলায় একটি ধর্মীয় ক্ষত সৃষ্টি করেই তা সম্পন্ন করা হয়েছিল। যে ধর্মীয় জিঘাংসায় সে সময় বাংলার জনপদ ক্ষত বিক্ষত হয়েছিল তার রেস এখনও বিদ্যমান। এবং সেই রেসের ঘোড়ায় চড়েই আজকের দিনে কট্টর ধর্ম তত্ত্বের জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী সাতচল্লিশের আদলেই অনগ্রসর শ্রেনীর উঠানে বসে তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে হিন্দু জাতীয়তাবোধের পতাকা হাতেই তাদের মুক্তি। হিন্দুস্থান হিন্দুদের আবাসস্থল। এখানে বাঙালী বিহারী গুজরাঠী মারাঠী বলে কিছু নেই। তারা সবাই হিন্দু। হিন্দুস্থান তাদের দেশ। দারিদ্রের নিষ্পেষনে জর্জ্জরিত এবং জাতপাতের বিভাজনে কন্টকিত ভারতীয় হিন্দুরা আজ এই মহা সুধার টানে ছেচল্লিশ সাতচল্লিশের সেই গল্প শুনছে। যখন হিন্দু মুসলমান ধর্ম তত্ত্বের দুই মেরুতে থেকে মানুষ মানুষকে নির্বিচারে খুন করেছে, এক সম্প্রদায় আরেক সম্প্রদায়ের ঘর বাড়ি জ্বালিয়েছে। দেশের কর্তাদের প্ররোচনায় জনপদের পর জনপদ বিনাশ করে ধর্মীয় তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলেছে। একবিংশের বটতলায় আবারো সেই আশংকার ঘনঘটা। তাই যদি না হয় তবে কোন্ অজুহাতে বাঙলী তার আপন অস্মিতাকে জ্বলাঞ্জলি দিয়ে আজ গায়ে গেরুয়া জড়িয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বাংলার আকাশ বাতাসে মৌলবাদী ডংকার সুর ছড়িয়ে দিতে কুন্ঠিত হচ্ছে না? রবীন্দ্র-নজরুল-জীবনানন্দের ওই বাংলায় কেন আজ কপালে রক্ত তিলক ওয়ালা গেরুয়াদের সদম্ভ বিচরন! 

বাঙালী আজ দোষারোপের রাজনীতি নিয়ে উচ্চকন্ঠ। ওদিকে গেরুয়া বাহিনী কোমর কষে কেন্দ্রীয় প্রভাব ও প্রতিপত্তি নিয়ে হা-অন্ন বাঙালীর উঠানে সপ্রতিভ। ধর্মের আত্মিক সুতার টান এবং অর্থের চাকচিক্যে হাড় জিরজিরে বাঙালী তাইতো আজ জয় শ্রীরামের জয়ধ্বনির মোহজালে বিভ্রান্ত। জাতপাতের বর্ন বিদ্বেষ তৈরী করে রাখার উঁচু শ্রেনীর সেইসব কারিগররা যুগ যুগ ধরে নীচু শ্রেনীর হিন্দুদেরকে তাদের দাবার সোলজার বানিয়ে সময়মত ব্যবহার করতেন। যেমন করেছিলেন ছেচল্লিশ সাতচল্লিশের মহা সাম্প্রদায়িক দেশ বিভাজনের সময়। এখনকার ভারত রাষ্ট্র তাদের ধর্মান্ধতার গোঁড়ামীতে হিন্দু ধর্মের অবহেলিত জনগোষ্ঠী অর্থাৎ এসসি এসটিদের মধ্যে ধর্মীয় জোশ্ সঞ্চার করে ভারতবর্ষ জুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির হোলি খেলায় উন্মত্ত। যারা জন্ম থেকে ধর্মের গ্যাঁড়াকলে অধীনস্ত থেকে গেল তাদেরই গরিষ্ঠতার বদৌলতে আজ ভারত জুড়ে হিন্দু শাসনের রাম রাজত্ব কায়েমে উঁচু ব্রাহ্মন্য সমাজ মরিয়া হয়ে পড়েছেন। তাইতো দেখি ধর্ম নিরপেক্ষ পশ্চিম বাংলার উঠানে দিল্লি শাসনের গেরুয়া সাধুরা তাদের জান মাল সমস্ত কিছু সঁপে দিয়েছেন বাংলায় পদ্ম ফুলের গেরুয়া নিশান উড়ানোর মিশনে। বিদগ্ধ জনেরা ইতোমধ্যে আশংকা প্রকাশ করে বলাবলিও শুরু করেছেন – বাঙালী আজ ছন্নছাড়া গেরুয়া অভিযানে।

ছবিঃ BJP West Bengal Facebook Page 

বিষয়:
avertisements 2
কিশোর গ্যাং আর ‘কিশোর’ নেই
কিশোর গ্যাং আর ‘কিশোর’ নেই
গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ
গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির  মৃত্যু
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2