avertisements 2
Text

জালাল উদ্দিন আহমেদ

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৭:২২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৫

Text

এ বিষয়ে কিইবা লেখা যায়। যে কেচ্ছা কাহিনী নিয়ে দুটি দেশের এক শ্রেণীর জনগন আজ তাদের রোজ-নামচার গল্প উপন্যাস রচনা করে চলেছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তবে জনগন এখানে মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা। একদল আছেন যারা নয়কে ছয় আর ছয়কে নয় করে সমাজে অহেতুক কেওয়াস কোন্দল বা হতাশা আতঙ্কের সৃষ্টি ক’রে নিজেদের রুটি রুজির মাপজোক করে। আমি বলছি না এসবের মূল হোতা শুধুমাত্র ওই শ্রেণীর লোকজন। তাদের মূল মাথাটা সদর্পে উন্নতশিরে বহাল তবিয়তে রাজনীতির কলুষিত অংশের দফাদার হয়ে দেশ সেবকের ছড়িটা নিজেদের করতলেই রেখেছে। আর এসব অখাদ্য কুখাদ্য মার্কা মানুষজন আজ রাজনীতির মাথা হয়ে সমাজ রাষ্ট্র এবং ক্ষেত্রবিশেষে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও যতসব অনাচার ও বৈষম্যের সূত্রপাত করে চলেছে। জানিনা সামনের দিনগুলিতে কতশত ঝড় ঝঞ্জা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। 

 

বেশ তো ভাল ছিলাম আমরা। সামগ্রিকতার মোড়কে ভারতীয় উপমহাদেশকে মান্য করেই তো আমদের রোজনামচা রচিত হোত। এই উপমহাদেশ নামের সংজ্ঞাটা ভারতকে নিয়েই রচিত হয়েছে বলে মনে হয়। অথচ দেখুন ধর্মীয় উচাটন সৃষ্টি করে একশ্রেণীর ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতিবিদের দূরাচারী আচরনে আমাদের এই গর্বের ভারতীয় উপমহাদেশ আজ কেমন যেন ফ্যাকাশে বেলে মাছের রূপ ধারন করেছে। আমরা আমাদের আদি কৃষ্টি কালচারের বর্ণনা করতে গেলেই ভারতের নামটা সবার আগে উচ্চারিত হয়। কারন গোঁড়াটা তো ওখানেই। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতা ইউরোপীয় মাহাত্ম্য থেকে আজ তার সুঘ্রান বিশ্বময় প্রসারিত করেছে, তেমনি ভারতীয় সভ্যতা ও শিল্প সংস্কৃতি এশিয়া ও দূরপ্রাচ্যে এমনকি আফ্রিকার মধ্যেও এর বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়। রবি ঠাকুরের, ‘দেবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে’র ভারতবর্ষ তো এভাবেই বিশ্ব সভ্যতায় তার সৌন্দর্য ও সৌহার্দের জয়গান গেয়ে গেছে। অথচ ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে ক্ষণকালের ক্ষমতা ও সুখ সম্ভোগের অভিলিপ্সায় আজ এই মহীরূহ ভারতীয় উপমদেশকে বিস্মৃতির অতল গহ্বরে বিলীন করার মহাযজ্ঞে উন্মত্ত হয়েছে তারা।

 

পঞ্চাশের দশকে জন্মেছি। বৃটিশ বেনিয়াদের কুটছায়া গায়ে পড়েনি বটে, তবে সেসবের প্রভাব কিছুটা হলেও থাকবে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় ইতিহাস ঐতিহ্যের সড়কে পা মাড়িয়েই বড় হয়েছি - একথা বিনা তর্কে উচ্চারণ করা যায়। আমরা দেখেছি এক আরবীয় মাওলানার সাচ্চা ভারতীয় হয়ে বৃটিশদের বিরুদ্ধে অসম লড়াই করার অকুতোভয় নেতৃত্ব। একজন স্ক্যন্ডিনেভিয়ান মাদার তেরেসার ভারতীয় মানবতার জয়গানে সমৃদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিশ্ব আলোকিত হয়েছে। আর মনীষী স্বামী বিবেকানন্দের আমেরিকা জয়ের কাহিনী তো ভারতীয় উপমহাদেশের এক প্রসিদ্ধ ইতিহাস। ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রথম শ্রেণীর দাবিদার বাঙালী ও পাঞ্জাবী জাতিস্বত্বা আজ খন্ডিত অবয়বে ধুঁকছে। বাংলার নিজস্ব স্বত্বা তৈরী হলেও তা খন্ডিত অবয়বে হতাশার জালে আঁটকে খাবি খাচ্ছে। কেননা অখন্ড বাঙালীর পশ্চিমের অংশটি ধর্ম বিবেচনায় ভারতীয় তকমা গলায় ঝুলিয়ে আজ হাপিতেশ করছে। পাঞ্জাবের বেলাতেও তাই। তাদের পুরো জাতিস্বত্বা আজ ধর্মীয় বেড়াজালে দ্বিখন্ডিত হয়ে একদল হিন্দু পাঞ্জাবী অন্যরা মুসলম পাঞ্জাবী। কি প্রহসন! এভাবেই ভারতকে টুকরো টুকরো করে আজ তার জাতিস্বত্বায় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে তাদেরকে দুর্বল করা হয়েছে। একথা বলা বাহুল্য, অখন্ড ভারত রাষ্ট্রের প্রাণ ভোমরা ছিল এই দুই শক্তিশালী জাতিস্বত্বা, যা শুধুমাত্র ধর্মীয় জাতিস্বত্বায় দু'টুকরো করে অখন্ড ভারতকে মিষ্টির বদলে গুড় খাইয়ে সন্তুষ্ট করা হয়েছিল। 

 

ভারত ভাগের জন্ম তিথিতে ধর্মীয় সহিংসতায় জনপদ রক্তাক্ত হয়েছিল বটে, তবে সহমর্মিতা ও পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ নিয়েই ভারত তার ঐতিহ্যগত আচরনেই গতিক ছিল। কারন বৃটিশ কলোনিয়াল রাষ্ট্র ব্যবস্থা অবসানের পর যারা শাসক হয়ে শাসন ব্যবস্থার হাল ধরেছিলেন, মোটামুটি তাদের সিংহ ভাগই ছিলেন বৃহত্তর ভারত আন্দোলনের পোড় খাওয়া সৈনিক। ফলে ভারত আন্দোলনের এসেন্স নিয়ে তাদের মধ্যে একটা সৌহার্দ ও সম্প্রীতি তারা বজায় রেখেছিলেন। সমস্যাটি হোল জেনারেশন গ্যাপ। সাতচল্লিশ পরবর্তী দ্বিতীয় প্রজন্ম ছিল এমন একটি প্রজন্ম যারা তাদের পুর্ব পুরুষদের কাইজ্যা ফ্যাসাদ ও হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা দেখেই বা তার উপরে হেঁটেই বড় হয়েছেন। ফলে তাদের রক্ত প্রবাহে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প প্রকটভাবেই ভর করে অবস্থান করছিল। এহেন পরিস্থিতির ডামাডোলে বৃহত্তর ভারত বর্ষের মূল ভূখন্ডের মানুষের বা রাজনীতির মধ্যে একটা হারানোর বেদনা কাজ করছিল। এই জমিন হারানো বা ক্ষমতা খর্ব হওয়ার আশংকায় কেন যেন কিছু অসহায়ত্ববোধ (inconsistencies) তাদের মধ্যে ভর করেছিল। তাছাড়া মুসলিম শাসনের সুদীর্ঘ সময়ে ভারতের চরমতম সাফল্যে একশ্রেণীর হিন্দু ধর্মীয় পন্ডিত/সাধুদের বরাবরই একটা এলার্জি ছিল। এবং তারা বৃটিশ বেনিয়া শাসনের দু'শ বছরে অতি স্বাচ্ছন্দে তাদের সহযোগী হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হেন অপকর্ম নেই যা করেনি। সেক্ষেত্রে ঐযে বলেছি সাতচল্লিশ পরবর্তীতে বৃটিশ বিদায়ের পরেও ভারত আন্দোলনের কুশীলবদের বিরুদ্ধে তারা তাদের ধর্মের ডুগডুগি বাজিয়েও হিন্দু গরিষ্ঠ ভারতবাসীকে সাম্প্রদায়িকতার মৌলবাদে চাঙ্গা করতে পারেনি। তবে তাদের অঙ্গহানির দুই প্রতিবেশী যখন তাদের নিজস্ব স্বকীয়তায় কেউ সামরিক শক্তিতে আবার অন্যটা সামাজিক শক্তিতে ঈর্ষানিত সাফল্য নিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করলো তখন ভারতের মূল ভূখন্ডে হিন্দুত্ববাদী মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। এটাও মোটামুটি জাতিগত হীনমন্যতার ফসল বলেই ধরে নেয়া যায়। তবে সেখানেও সময় খরচ হয়েছে কম করে হলেও পঞ্চাশ থেকে ষাট বছর এর মত। 

 

যাহোক এভাবেই ভারত বাংলাদেশের শাশ্বত ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে একটা চওড়া ফাটল দেখা দিল। তবে তা কখনোই জনগনের সঙ্গে জনগনের নয়। এটা ছিল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে রাষ্ট্রের মতদ্বৈধতা। তাছাড়া ভারতের ইতিহাসগত অহমিকার খেসারতে এবং নিজেকে ভারতীয় উপমহাদেশের বড'দা ভাবসাবের কারনে সময়ের ব্যবধানে আজ এতদাঞ্চলের রাজনীতির খোলনলচেও বোধ হয় পাল্টাতে শুরু করেছে। যে ভারতীয় উপমহাদেশ আজকের পরিচয়ে দক্ষিণ এশিয়া নাম ধারনে পরিচিত সেই দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ভারত একধনের দাদাগিরি ফলানোর ঝুট ঝামেলায় সদা জাগ্রত। ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লাগোয়া স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলি যারা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত - তারা তাদের জাতিগত অস্মিতার আলোকে নিজেদের মত চলার সিদ্ধান্তে মাথা তুলে দাঁড়ায়ে চায়। সেক্ষেত্রে ভারতীয় শাসক কুলের অহমিকা  ও দাম্ভিকতার মাশুল দিতে গিয়ে এতদাঞ্চলের সাধারন জনগন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার সূত্রপাত করে হিন্দু মুসলিম জাতিস্বত্বা সৃষ্টি করে কয়েকটি জাতিস্বত্বার বিলোপ ঘটিয়ে হিন্দুস্তান পাকিস্তানের জন্ম দেয়া হোল তার শেকড়ের জলন্ত তুষের আগুন কি এখনো নিভানো গেছে? আজকের দিনে ভারতের মত একটি মহান রাষ্ট্র অষ্টম শতাব্দী হতে যখন তিলে তিলে গড়ে উঠে সুশৃঙ্খলভাবে পৃথবীর বুকে তার পদচিহ্ন আঁকতে শুরু করেছিল, শুধুমাত্র মুসলিম বিদ্বেষের অজুহাতে কতিপয় হিন্দু রাজা মহারাজাদের ষড়যন্ত্রে দেশটি বৃটিশ পরাধীনতায় মশীলিপ্ত হোল। পাকা দু’শ বছরের কলোনিয়াল কালিমায় থেকে অবশেষে ভারত স্বাধীন হোল বটে তবে তিনখন্ডের দুটি রাষ্ট্রের চেহারায় তার অবস্থান নিশ্চিত হোল। 

 

তবে বাঙালী জাতিস্বত্বার জোয়ারে পাকিস্তান নামক মুসলিম রাষ্ট্রর পতন ঘটলো। এখানে ঐতিহ্যগতভাবে ভারতীয় শাসক কুলের কিছুটা কুমতলব ছিল বলেই হয়তো ভারত তার অভ্যন্তরীন শত অভাব অনটনের সেইসব দিনে বাংলার মুক্তি সংগ্রামে জনে-ধনে শতভাগ সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের  পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুসলিম প্রধান দেশ হয়েও নিজেদের শাশ্বত ঐতিহ্যের ধর্ম নিরপেক্ষ অবস্থানে নিজেকে ঘোষনা দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশী দেশ হিসাবে তার অবস্থান স্থির কর‍তে  চাইলো।  আর এই সূত্রে ভারতের দাদাগিরি ও বেনিয়া নীতির প্রতিফলনে তখন ভারত রবি ঠাকুরের সেই ‘দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবের’ চরিত্রের স্খলন ঘটিয়ে শুধুমাত্র ‘নিবে আর নিবে’র একতরফা দাদাগিরির আচরনে নিজেকে প্রতষ্ঠিত করে সদ্য জন্ম নেয়া বাংলাদেশকে আশ্রিত রাজ্যের আদলে বেড়ে উঠায় কোনঠাসা করে রাখলো। ঠিক যেন নাটক সিনেমার হপ্তা উঠানো গুন্ডা মাওয়ালীর স্টাইলে। এখানে পরাশ্রয়ী ও  ঠুনকো দেশপ্রেমীর ধ্বজা ধরে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনীতির দলটি ভারতকে শেষ আশ্রয় ভেবে এবং নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার মানসে এধরনের ‘'জি হুজুর” মার্কা আচরনে নিজেদের বাঙালীর অস্মিতার আঁতুড় ঘরে তুষের আগুন জ্বালিয়েছিল। দিল্লির দাদাগিরি ও একতরফা স্বৈরাচারী স্টাইলে দেশবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়ে। তাছাড়া দেশের শিক্ষা স্বাস্থ্য অর্থনীতিকে ফোকলা করে শাসক শ্রেণীর বিদেশে সেকেন্ড হোম বানিয়ে নিজেদের জৌলুশ ও স্বজন প্রীতির তোড়ে সাধারন জনপদে আহাজারি সৃষ্টি হয়।

 

‘পচা শামুকে পা কাটে’ বলে একটা প্রচলিত  প্রবাদ আমরা প্রায়শই উচ্চারন করি। এবং হয়েছেও তাই। হাসিনা নামের আওয়ামী লীগের জগদ্দল পাথর হয়ে বসে থাকা বিনা ভোটের শাসন ক্ষমতার গায়ে এক টুকরো কাঁকর, রাজনীতির নিয়মানুবর্তী অন্দোলন নাড়া দিতে পারেনি। জেল জুলুম হত্যা গুম খুন হেন অমানবিক ও পৈশাচিক কাজ এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার তার পার্টির ক্যাডার ও পোষ্য সরকারী শৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমে করেনি যার হিসাব খতিয়ান আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিভিন্ন কমিশনের মাধ্যমে অবগত হচ্ছি। আর এর পিছনের মদতদাতা বা ছাতা হয়ে যে শক্তি এই মাফিয়া সরকারকে শক্তি ও অভয় জুগিয়েছে তা হচ্ছে প্রতিবেশী হিসাবে বন্ধুর মুখোশধারী রাষ্ট্র ভারত। কেননা ভারতের ইচ্ছার প্রতিফলনে এই সরকারের কার্যধারা পরিচালিত হোত। সেটাও হোত তার ক্ষমতা স্থায়িত্বের গ্যারান্টি ক্লজ হিসেবে। তবে জনতা জনার্দন বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। এই বাক্যটা ভারতীয় রাজনীতিতেই বেশী শোনা যায়। সেই জনতার কোপানলে পড়েই দেশের মাফিয়া স্বৈরশাসকের পতন ঘটলো সামান্য এক অরাজনীতির ছাত্রদের মেধাস্বত্বের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে। জনতা ফুঁসে উঠলো আগ্রাসনের নামে ভারতের মেকি বন্ধুত্বের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে, যার ফলশ্রুতিতে গুষ্টিশুদ্ধ এবং দলবলসহ হাসিনার স্বৈর শাসনকে দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হোল। কি এক ট্র‍্যাডিজি! পঁচাত্তরে স্বৈরশাসক পিতা শেখ মুজিবের বংশসহ নির্বংশ করার মিশন এবং চব্বিশে দলবলসহ গুষ্টিশুদ্ধ সহযোগীদের দেশ থেকে বিতাড়নের বিদ্ধংসী বিপ্লব। ভারত প্রতিবেশী বটে তবে কখনোই মুসলিম বাঙালী রাষ্ট্রের বন্ধু হতে পারেনা। এটা আমরা বুঝেছি স্বাধীনতার প্রথম প্রভাতে। আর বিগত অর্ধশতাব্দীর আওয়ামী ও স্বার্থান্বেষী শাসকদের প্রায় চার দশকের শাসনামলে বাঙালী তিলে তিলে টের পেয়েছে বন্ধুত্বের কানাকড়ি হিসেব নিকেশের তারাজুতে চড়ে ।সুতরাং ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের ফালনামা খুলতে গেলে তো আমাদের সেই রবি ঠাকুরের “দুই বিঘা জমি” কবিতাটি বার বার পড়তে হয়। জমিদার বাবু আর উপেনের সেই সম্পর্কই তো এতদিন পালন করে চলেছি আমরা।

*সেক্ষেত্রে সামনে যারা নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার শপথ নিবেন, আশা করি হিসেব নিকেশের চুলচেরা বিশ্লেষনে জনতা ও জেন-জির এই আকাঙ্খাটি তাদের প্রথম এক'শ দিনের কার্য তালিকার এক নম্বরেই থাকবে। 

বিষয়:
avertisements 2
যুক্তরাষ্ট্রে যেতে নতুন কঠোর নিয়ম মানতে হবে ৪২ দেশের নাগরিকদের
যুক্তরাষ্ট্রে যেতে নতুন কঠোর নিয়ম মানতে হবে ৪২ দেশের নাগরিকদের
হাদিকে গুলির ঘটনায় পুরো জাতি গুলিবিদ্ধ হয়েছে: ডাকসু ভিপি
হাদিকে গুলির ঘটনায় পুরো জাতি গুলিবিদ্ধ হয়েছে: ডাকসু ভিপি
ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক
ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল চাইছেন, এটাই কি যুক্তরাষ্ট্রের আসল লক্ষ্য
ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল চাইছেন, এটাই কি যুক্তরাষ্ট্রের আসল লক্ষ্য
গুলিবিদ্ধ হাদিকে নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারি
গুলিবিদ্ধ হাদিকে নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারি
মাথায় বুলেট, ওসমান হাদি লাইফ সাপোর্টে: ঢামেক পরিচালক
মাথায় বুলেট, ওসমান হাদি লাইফ সাপোর্টে: ঢামেক পরিচালক
রাষ্ট্রপতি অপমানিত বোধ করছেন, পদত্যাগের সময় জানালেন রয়টার্সকে
রাষ্ট্রপতি অপমানিত বোধ করছেন, পদত্যাগের সময় জানালেন রয়টার্সকে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
চিকিৎসায় রেসপন্স করছেন খালেদা জিয়া : ডা. জাহিদ
চিকিৎসায় রেসপন্স করছেন খালেদা জিয়া : ডা. জাহিদ
 মা-মেয়ে হত্যা: স্বামীর দেওয়া তথ্যে গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেপ্তার
 মা-মেয়ে হত্যা: স্বামীর দেওয়া তথ্যে গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেপ্তার
১৬ মাসে খুলনায় ৪৮ খুন, নভেম্বরেই ৭
১৬ মাসে খুলনায় ৪৮ খুন, নভেম্বরেই ৭
সিডনিতে ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি সামিট ২০২৫’: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার ডাক
সিডনিতে ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি সামিট ২০২৫’: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার ডাক
মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব
মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব
অশ্লীল ছবি ছড়ানোর হুমকি, বিএনপি প্রার্থীর কাছে চাঁদা দাবি
অশ্লীল ছবি ছড়ানোর হুমকি, বিএনপি প্রার্থীর কাছে চাঁদা দাবি
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2