‘ডিআইটি মসজিদে হাত দিলে তার কবর রচিত হবে’, আইভীকে হুঁশিয়ারি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫২ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতি ইঙ্গিত করে হুঁশিয়ারি দিলেন ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও নগরীর ডিআইটি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদে হাত দিলে তার কবর রচিত হবে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের বয়ানে মসজিদের মুসল্লিদের সামনে মাওলানা আবদুল আউয়াল এমন ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণায় উপস্থিত হাজারো মুসল্লি সমর্থন জানিয়েছেন।
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বাংলাদেশের প্রথম নারী মেয়র। ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
মেয়র আইভীকে উদ্দেশ করে হেফাজত নেতা মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘মাসদাইর কবরস্থানের পাশে মসজিদের সঙ্গেই দীর্ঘদিন একটি মাদ্রাসা ছিল। মাদ্রাসাটি ভেঙে দিয়েছেন উনি (মেয়র আইভী)। বলেছিলেন, নিজেস্ব অর্থায়নে করে দেবে, এত বছর হয়ে গেল কিন্তু মাদ্রাসাটি করে দিল না। এখন তার মনমতো মসজিদ করে আগের ইমাম বাদ দিয়ে একজন বেদাতি ইমাম ঢুকিয়েছে সেই মসজিদে। ইদানীং খবর পেলাম, বাগে জান্নাত মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙার জন্য লোক পাঠিয়েছিল। পরবর্তীতে সিটির জায়গা দাবি করে, সে নিজেই গিয়ে এটাকে ভেঙে পার্ক বানানোর কথা বলেছেন।’
মেয়র আইভীর সমালোচনা করে আবদুল আউয়াল আরো বলেন, ‘এখন আবার আলোচনা শুনছি, ডিআইটি মসজিদের সামনে নাকি ফ্লাইওভার বানানো হবে আর শেখ রাসেল পার্কের দর্শনার্থী নারী-পুরুষ সব মসজিদের ওপর দিয়ে চলাচল করবে। আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্যাপারটা? এখন উনার টার্গেট ডিআইটি মসজিদ নিয়ে যাওয়ার। মসজিদ নিয়ে নিজের মনমতো বানাবে। আমাকেও বলেছিলেন, মসজিদটা তাকে দিয়ে দিতে। আর এখন আমি ‘সাধারণ সম্পাদক’ হওয়ায় তার মাথা তেলেবেগুনে জ্বলতে শুরু করেছে।’
আবদুল আউয়ালের ভাষ্যমতে, ‘আপনি মেয়র হওয়ার বহু আগে থেকেই এখানে এই মসজিদ সরকারি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জায়গা আপনার বাবার না। রেলওয়ের জায়গা দখল করে যা মনে চায়, তাই করছেন। এখন আবার ডিআইটি মসজিদ নিয়েও আপনি যা মনে চায়, তাই করতে চাইছেন?
মেয়রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আইভী’ আপনি মনে রাইখেন, আমি আবদুল আউয়াল চলে যেতে পারি। জনগণ কোনো দিনও আপনাকে ছাড়বে না। হে ইমানদারেরা, ইমানের ওপর বলিয়ান হও। এই ডিআইটি মসজিদের ওপর যদি কেউ হাত দেয়, তার কবর রচিত হবে এই বাংলার জমিনে। ডিআইটি মসজিদের সামনে ফ্লাইওভার কোনোদিনও বাস্তবায়িত হতে দেব না।’
আবদুল আউয়াল মেয়র আইভীর সমালোচনা করে আরো বলেন, ‘উনি নারায়ণগঞ্জের মেয়র। মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে সিঁদুর লাগিয়ে মন্দিরে গিয়ে পূজা করছেন। সেই ছবি নাকি ভাইরাল হয়েছে। একজন আমাকে এনে দেখালেন। আপনি কোরবানি করেন না, অথচ ১০ মহরমে গরু জবাই করেন। মাজারপন্থি, শিরকপন্থিদের সমর্থন করেন আর কওমি মাদ্রাসাপন্থিদের সতিনের ছেলে মনে করেন। আপনি তো সেই আইভী। আপনার ইতিহাস উন্মোচন হচ্ছে।