avertisements 2

আট সন্তানকে হাফেজ বানানো ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আর নেই

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪২ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নূরুল হক মিয়া আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।  

প্রফেসর নূরুল হক মিয়া একজন সুযোগ্য রসায়নবিদ ছিলেন। বিশেষ করে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত সারাদেশে বহুল প্রচলিত ছিল তার লেখা এইচএসসির বইটি। মো. নুরুল হক শিক্ষকতার ১২ বছর কাটিয়েছেন ঢাকা কলেজে। তিনি রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন ছাড়াও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালন করেন। গুণী এই অধ্যাপক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

১৯৪৪ সালের ১ জুলাই গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার জন্ম নেয়া নূরুল হক শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। ব্যক্তিগত জীবনে তার আট সন্তানকে তিনি কোরআনের হাফেজ বানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মো. নূরুল হক ১৯৬৯-এ শিক্ষকতার পেশায় যোগ দিয়ে অধ্যাপনা করেছেন দেশসেরা প্রতিষ্ঠানসমূহে। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

 

মো. নূরুল হক বিখ্যাত ছিলেন রসায়নবিদ হিসেবেও। কেমিস্ট্রি প্রফেসর হিসেবে তার খ্যাতির মূল কারণ ছিল বই। ইন্টার ও ডিগ্রি ক্লাসে রসায়নের ওপর লিখিত তার সাতটি বই সিলেবাসভুক্ত। বিশেষ করে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত সারাদেশে এককভাবে রাজত্ব করেছে ইন্টারের তার লেখা রসায়ন বইটি। দ্বিতীয় কোনো বই ছিল না। 

চাকরি জীবন থেকে অবসরের পর অনেক ধরনের অফার থাকলেও তিনি সেগুলো গ্রহণ করেননি। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই তাবলিগ জামাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অধ্যাপনা ও লেখালেখির পাশাপাশি সারা জীবনই দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ করেছেন। বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। 

তিনি দুই ছেলে ও ছয় কন্যার জনক। সবাইকেই তিনি কোরআনে হাফেজ বানিয়েছেন। দুই ছেলেই মাওলানা। দুজনই দেশে প্রথম সারির দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার শিক্ষক।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2