মিশরের মেয়ে এখন নোয়াখালীর বধূ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রেম-বিয়ের পাঠ চুকিয়ে মিশরের মেয়ে ডালিয়া (২৬) এখন নোয়াখালীর বধূ। প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করে সুদূর মিশর থেকে বাংলাদেশে এসেছেন মিশরীয় এই তরুণী। নোয়াখালীতে এসে সংসার শুরু করেছেন স্বামী বাবুর সঙ্গে। এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত তাদের বাড়ি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ দম্পতি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালের মিশরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তারা বাংলাদেশে আসেন।
গোলাম সারোয়ার বাবু বলেন, আমি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিশর যাই। সেখানে একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি নেই। ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতাম আমি। ওর ভাইয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবাধে মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল।
এক সময় ডালিয়াকে ভালো লাগার বিষয়টি জানাই। এতে ডালিয়া সম্মতি দিলে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন কানুন মেনে মিশরে তাকে আমি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করি।
এরপর এই প্রথম দুইজনের একসঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি। বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি।
মিশরীয় তরুণী ডালিয়া বাংলা বলতে না পারলেও মিশরী ভাষায় সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিশরী ভাষা বাংলা অনুবাদ করে তার স্বামী বাবু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পছন্দ বলেও মন্তব্য করেন এ বিদেশি তরুণী। তবে কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুরবাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত। নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশি পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।