করোনাভাইরাসের প্রকোপ: ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ১,০০০ সেনা পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ জুন,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১২:৫৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কয়েক দশকের পুরনো যক্ষ্মার টিকা ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুউরিন (বিসিজি) নেওয়া থাকলে করোনার ঝুঁকি কম বলে কয়েকদিন আগে জানিয়েছিল বিশ্বের কয়েকটি দেশের বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছিলেন, যক্ষ্মার ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উন্নত করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে।
এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে যক্ষ্মার টিকাকে হাতিয়ার করার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রাড হ্যাজার্ড। বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন কভিড -১৯ থেকে রক্ষা করতে এবং সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ প্রতিরোধ করতে সহায়তা
করবে বিসিজি টিকা। শুক্রবার তিনি বলেন, কভিড-১৯ এর প্রভাব বন্ধ করার পক্ষে এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এটা সাহায্য করতে পারে। সিডনির ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ভিক্টোরিয়ার মারডোক চিলড্রেন রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালিত একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেবেন এটা যাচাই করে দেখতে যে, বিসিজি ভ্যাকসিন লোকদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত ও সার্স-কোভি -২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে কিনা।
এমসিআরআইর পরিচালক অধ্যাপক ক্যাথরিন নর্থ বলেছেন, ক্লিনিক্যাল এই ট্রায়ালটি কভিড-১৯ এর উপসর্গের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা যথাযথভাবে পরীক্ষা করার অনুমতি দেবে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও গুরুতর কভিড রোগীদের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড বলেছেন, যদিও অল্প বয়স্ক অস্ট্রেলিয়ানরা প্রায় শত বছর আগে ফ্রান্সের এই ভ্যাকসিনটির তৈরির কথা হয়তো জানে না, তবে যক্ষ্মার বিস্তার রোধ করতে কয়েক দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান স্কুল শিশুদের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ফরাসি মাইক্রোবায়োলজিস্ট অ্যালবার্ট ক্যালমেট এবং ক্যামিল গুউরিনের নামানুসারে এই ভ্যাকসিনটির নামকরণ করা হয়। অত্যন্ত সংক্রামক শ্বাসকষ্ট যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ১৯১৯ সালে এটা তৈরি করা হয়েছিল। সেই থেকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা নির্মূলে অব্যর্থ প্রতিষেধক হিসাবে এটা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় এখনো পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের।
সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৬ হাজার ৮৭৮ জন। প্রথম তরঙ্গে করোনা মোকাবেলায় সফল দেশগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়া। তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সেখানে দ্রুতই করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। সূত্র- সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।