করোনাভাইরাস হয়ত কোনো গবেষণাগার থেকে এসেছে: অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ বিজ্ঞানী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ মে,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:৫৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ এক বিজ্ঞানীর মতে, মানুষকে সংক্রমিত করার জন্য করোনাভাইরাস বিশেষভাবে বিবর্তন করা হয়েছে। এটি কোনো গবেষণাগার থেকে এসেছিল বলেই মনে করেন তিনি। মেইল অনলাইনকে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ভ্যাকসিন গবেষক প্রফেসর নিকোলাই পেট্রোভস্কি বলেছেন, কোভিড-১৯ প্রচলিত জুনোটিক (প্রাণী থেকে মানুষের দেহে) সংক্রমণের সাধারণ কোনো ভাইরাস নয়।
ভাইরাসটি যে ধরনের আচরণ করে, কোনো জুনোটিক ভাইরাসকে এ ধরনের আচরণ করতে আমি এর আগে দেখিনি। প্রফেসর পেট্রোভস্কি আরো বলেছেন, এর প্রভাব বিজ্ঞানীদের বা বিশ্ব রাজনীতির পক্ষে ভালো নাও হতে পারে, তবে উত্তরগুলো কেবল সমস্যার কারণ হতে পারে, আমরা সেগুলো থেকে পালাতে পারি না।
তাঁর মতে, গবেষণাগার থেকে ভাইরাসটি ছড়ানোর কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি, তবে এ পরিস্থিতি সম্পর্কিত পর্যাপ্ত ডেটা রয়েছে যা উদ্বেগ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। সন্দেহ বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি একটি সম্ভাবনা হিসেবে থেকেই যায়। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে একটি গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর পেট্রোভস্কি। তাদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আগামী মাসে মানুষের ওপর শুরু করবে।
তিনি এটিকে কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন যে, উহানের গবেষণাগারে করোনাভাইরাসগুলো নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল। তাঁর মতে, হয় এটি একটি উল্লেখযোগ্য কাকতালীয় ঘটনা বা মানুষের হস্তক্ষেপের লক্ষণ। তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ভাইরাসটির জন্য সঠিক হোস্ট ছিল মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ আরো কিছু দেশের বিজ্ঞানীরাও ইতোমধ্যে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির দিকে আঙুল তুলেছে।
তাদের মতে, চীনের এই গবেষণাগার থেকেই করোনাভাইরাসটি ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ইনস্টিটিউট তা আজগুবি তত্ত্ব ও মনগড়া তথ্য হিসেবে অভিহিত করেছে। গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস চীনের বাইরে ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়ে উঠেছে।