অস্ট্রেলিয়া জ্বলছেই!: হাজারো মানুষ ছুটছে সৈকতের দিকে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০১৯ | আপডেট: ০২:৪৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ভয়াবহ দাবানল সমুদ্র তীরবর্তী বেশ কয়েকটি শহরের দিকে ধেয়ে আসতে থাকায় এলাকাগুলোর আতঙ্কিত হাজারও বাসিন্দা ও পর্যটক অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের দিকে ছুটছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীর সাহায্য চেয়েছে। আগুন নেভাতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দমকল কর্মীদেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দাবানল সোমবার রাতেই আরও দুইজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
এ নিয়ে অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা ১১-তে পৌঁছেছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। কয়েকমাসের ভয়াবহ এ দাবানল অস্ট্রেলিয়ার চার লাখেরও বেশি হেক্টর জমিকে বিনষ্ট করেছে; চলতি সপ্তাহের তাপদাহ এবং তীব্র বাতাস দাবানলকে ইন্ধন যোগাচ্ছে।
বাড়তে থাকা তাপমাত্রা ও জোর বাতাসের কারণে ২০০রও বেশি বড়-ছোট দাবানলে এখন দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল পুড়ছে। ঝুঁকির মধ্যে আছে বেশ কয়েকটি শহরও। কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে দাবানলের পথে থাকা বাসিন্দাদের দ্রুত এলাকা ছেড়ে সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছে।
শহরগুলোতে আটকে পড়া অনেকেই রক্তবর্ণা আগুন, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি থাকা একজনের ছবিতে অসংখ্য মানুষকে বালির মধ্যে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে; এদের মধ্যে কারও কারও মুখে গ্যাস মাস্ক দেখা যাচ্ছে। “রণক্ষেত্রর মতো লাগছে; এটা ভীতিকর,” বলছেন ওয়েব ওয়েসিস গেস্ট হাউজের স্বত্বাধিকারী ডেভিড জেফ্রি। “একেবারেই ভয়াবহ,” বলেছেন স্থানীয় একটি কমিউনিটি রেডিওর উপস্থাপক ফ্রান্সেসকা উইন্টারসন।
দাবানলে মালাকোট শহরে থাকা বাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তুর দিন কাটাচ্ছেন জেলে স্টিভ কেসমেন্ট। “আমরা আটকা পড়েছি। এই মুহুর্তে সবাই স্তম্ভিত, আমার সহকর্মীদের অনেকের পরিস্থিতিও আমার মতোই। এখন আমি একটি ট্রেলারে বসে শহরটি পুড়ে যেতে দেখছি; কোনো দরিদ্র লোকের বাসার গ্যাস বোতল বিস্ফোরণের শব্দ শুনছি, দেখছি আমাদের চারপাশের ধোঁয়ার আস্তরণ,” টেলিফোনে এমনটাই বলেছেন এ অস্ট্রেলিয়ান।