অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে 'মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে' ব্যর্থ চীন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ৮ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৩৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক গত বছরে ব্যাপকভাবে অবনতি ঘটেছে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞদের ধারণা এমন হওয়ার পেছনে কারণ ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার চীন বিরোধী ব্যবস্থা নেয়া।
গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উৎস কোথায়- এর একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান।
অন্যদিকে চীন অস্ট্রেলিয়াকে 'বশে' আনতে নানা ধরণের কৌশল অবলম্বন করে আসছে। তবে এতে ঘটে হীতে বিপরীত, চীনবিরোধী মনোভাব বেড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার।
এরপর প্রতিশোধ নিতে, চীন অস্ট্রেলিয়ার ওপর 'বৈষম্যমূলক শুল্ক' আরোপ করে এবং দেশটির বহু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে। চীন স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গরুর মাংস নিষিদ্ধ করে এবং দেশটির ওয়াইনে ২০০ শতাংশের বেশি শুক্ল আরোপ করে। এছাড়া তদারকের অজুহাতে অস্ট্রেলিয়ার কয়লা চালান চীনা বন্দরে আটকা পড়েছে। চীন দেশটির বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
অস্ট্রেলিয়া যে পরিমাণে রপ্তানি করে এর এক তৃতীয়াংশ চীনে যায় যার ২০১৮-১৯ সালে বাজারমূল্য প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ডলার। চীন অস্ট্রেলিয়ার পণ্যের ওপর শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকারিভাবে যে কারণ বলেছে তা হলো অস্ট্রেলিয়ান ভর্তুকি বা মানের সমস্যা। তবে চীনের অনলাইন মার্কেটের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে এখনো অস্ট্রেলিয়ার পণ্যের চাহিদা একই আগের মত। এর মানে দাড়ায়, অস্ট্রেলিয়ার যে পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ করেছে, চীন তার আমদানিকারকদের অস্ট্রেলিয়ান পণ্য কেনার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছে। যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) চুক্তির লঙ্ঘন এবং অপব্যবহার।
চীনের এমন জবরদস্তিমূলক কূটনীতির নীতির নেতৃত্বে রয়েছে তথাকথিত ও'ল্ফ ওয়ারিয়র' কূটনীতিকরা। এসব কূটনীতিকরা দেশটির স্বার্থ রক্ষায় সংঘাতমূলক পন্থায় কাজ করে।
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে চীনের এসব দুর্বল প্রচেষ্টা। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের ফার্গাস হ্যানসনের মতে, চীন অস্ট্রেলিয়ায় কোনও বন্ধুর মন জেতেনি এবং জনগণের মতামত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) বিরুদ্ধে তীব্রভাবে পরিণত হয়েছে। ইকোনমিক টাইমস