লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই ছাত্রীকে শিক্ষিকার মারধর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৫ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৫

ফাইল ছবি
লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষাকেন্দ্রে দুই ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শহরের দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় সহকারী (বাংলা) শিক্ষক সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মর্জিনা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে, সকালে ওই মাদরাসায় বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্বরত শিক্ষক সালমা আক্তার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা জোহরা মীম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নূহাকে মারধর করেন। খামচি দিয়ে মীমকে মারাত্মকভাবে জখম করেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। পরে মীম ও নূহা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, মাদরাসার শিক্ষক ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণির ছাত্রী মীম একসময় বাংলা শিক্ষক সালমা আক্তারের কাছে প্রাইভেট পড়ত। ১০ দিন প্রাইভেট পড়ার পর, হঠাৎ মীম প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়। এরপর মীম তার দশ দিন প্রাইভেট পড়ার টাকা দিতে চাইলে শিক্ষক সেই টাকা নেননি। মঙ্গলবার মীমের হাদিস পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব পড়ে সালমা আক্তার ও জলিল শিক্ষকের। দায়িত্বরত অবস্থায় দুই শিক্ষকের মধ্যে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। হঠাৎ মীমের দিকে দৃষ্টি পড়ে সালমার। এ সময় তিনি রাগান্বিত হয়ে প্রাইভেটের টাকার কথা বলে মীমকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে মীম ও নূহাকে মারধর করেন তিনি। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সালমা আক্তার বলেন, আমার কাছে মীম ৫ মাস প্রাইভেট পড়ছে। হঠাৎ সে আর প্রাইভেটে আসছে না, আমার টাকাও দিচ্ছে না। এ ছাড়া মীম আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই আমি আজ তাকে থাপ্পড় দিয়েছি।
মীমের মা মর্জিনা বেগম বলেন, অপরাধ না করেও শিক্ষকদের হাতে শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছিত হবে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
দারুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নেছার উদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনা কারও কাম্য নয়। মাদরাসার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি মিটিং করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ভুলু বলেন, বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

ডিবি হারুনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৬ কোটি আত্মসাৎ, ব্যবসায়ীর মামলা

কুবি ছাত্রী সুমাইয়াকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা: আসামির স্বীকারোক্তি

আলোচিত সাদাপাথর লুটের ঘটনায় পদ হারানো সেই বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

মা-মেয়েকে হত্যার অনুসন্ধান: আসামি সেই কবিরাজের বিরুদ্ধে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর
