স্বর্ণালঙ্কার বা টাকা নয়, ১০১টি বই দেনমোহরে ব্যাংকার-শিক্ষার্থীর বিয়ে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেনমোহর হিসেবে টাকা কিংবা স্বর্ণালঙ্কার না চেয়ে বই দাবি করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া পারভীন অন্তরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল মিথুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়েবন্ধনে জড়ান অন্তরা।
তাদের উভয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায়। আর বিয়েতে দেনমোহরের প্রথা ভেঙে ১০১টি বই নিয়েছেন অন্তরা। বিয়ের আসরে দেনমোহর নিয়ে দরকষাকষির দৃশ্য যখন সচরাচর তখন ব্যতিক্রমী এই দেনমোহরের চাহিদা অবাক করেছে বরপক্ষসহ সবাইকে। শুধু তাই নয়, কনের লিখে দেওয়া তালিকার বই ছিল দেনমোহরে।
দাবি অনুযায়ী ১০১টি বই হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভিন্নধর্মী এই দেনমোহর পরিশোধ করে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় সন্তুষ্টির কথা জানান বর-কনে দুজনই। বইগুলো নিয়ে পারিবারিক গ্রন্থাগার গড়ার কথাও জানান তারা।
সুমাইয়া পারভীন অন্তরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জানতে পারি, যেকোনো কিছু দেনমোহর হতে পারে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বিয়েতে ১০১টি বই দেনমোহর হিসেবে চাইবো। ইচ্ছার কথা বাবা-মাকে জানালে তারা আমার চিন্তার প্রশংসা করেন। আমার বাবা তখনই বইয়ের নাম সংগ্রহ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই থেকে আমি পছন্দের ১০১টি বইয়ের নাম সংগ্রহ শুরু করি।
পাত্র রুহুল মিথুন জানান, বিয়ের আগে দুই পরিবার আলোচনার সময় আমার পরিবারের পক্ষ থেকে দেনমোহর হিসেবে অর্থ প্রস্তাব করা হলেও আমার শ্বশুর তার মেয়ের ইচ্ছার কথা জানান এবং ১০১টি বইয়ের লিস্ট দেন। এতে সবাই অবাক হন, পরে আমি তাদের বুঝিয়ে রাজি করিয়েছি। লিস্ট ধরে বইগুলো খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট করতে হয়েছে, তবে বিষয়টি খুবই উপভোগ করেছি।