পাঙাশ পেয়ে ইলিশের দুঃখ ভুলছেন জেলেরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দীর্ঘ ২২ দিনের বিরতি শেষে চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় জাল পেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছে না জেলের। নদীতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও আশানুরূপ ইলিশের দেখা নেই। তবে ইলিশ না পেলেও জেলেদের জালে বড় বড় পাঙাশ ধরা পড়ছে। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করেই কোন রকম ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা।
এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর দেশের অন্যতম মৎস্য আড়ত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। ভোর থেকেই হাকডাকে জমে ওঠে মৎস আড়ত। যদিও ইলিশের আমদানি একেবারেই কম। এতে করে ইলিশের দামও অনেক বেশি। বর্তমানে ইলিশের পাশাপাশি ঘাটে বড় বড় পাঙাশ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ইলিশ কেনার জন্য মাছঘাটে এসে হতাশ হচ্ছেন ক্রেতারা। আর ইলিশের দামও কম হবে এমন আশায় ঘাটে এসে পাল্টে ভাবনা। ফলে অনেক ক্রেতাকেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে কিছু কিছু ক্রেতারা পাঙাশ কিনেও হচ্ছেন খুশি।
মাছঘাটে আসা জেল লোকমান হোসেন বলেন, নদীতে ইলিশ একেবারেই কম। জাল ফললে তেমন ইলিশ পাইনা। তবে নদীতে প্রচুর বড় বড় পাঙাশ। ৬ টা বড় পাঙাশ পেয়েছি, তাই এখানে বিক্রি করলাম।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত বলেন, ইলিশের আমদানি কম। ২২ দিন মাছধরা বন্ধ থাকায় নদীতে অন্যান্য মাছ বড় হয়েছে। এতে করে বড় পাঙাশ পাওয়া যাচ্ছে। কেজি প্রতি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।