avertisements 2

নওগাঁয় হাসপাতালের সিঁড়িতে পাওয়া সেই নবজাতক ওয়ার্ড থেকে চুরি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১১ এএম, ২২ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৫

Text

ছবি: ফাইল

নওগাঁয় জেনারেল হাসপাতালের সিঁড়িঘরে পাওয়া অজ্ঞাত নবজাতক ৪০ ঘণ্টার ব্যবধানে শিশু ওয়ার্ড থেকে চুরি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিশুটিকে দেখা গেলেও দুপুর ১টার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠছে। কারণ, শিশু চুরির ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোপন রেখেছিল। বুধবার দুপুরের দিকে সাংবাদিকরা শিশুর খোঁজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে চুরির ঘটনা। এ ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত রোববার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের চতুর্থ তলার সিঁড়িঘরে এক টুকরো কাপড়ে মোড়ানো নবজাতককে দায়িত্বরত ওয়ার্ডবয় রাজু হোসেন উদ্ধার করে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করান। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সদর মডেল থানা পুলিশকে জানায় কর্তৃপক্ষ। নিরপত্তার জন্য রাতেই এক নারী পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটিকে দেখভালের জন্য হাসপাতালে শিশুর সঙ্গেই ছিলেন ওই নারী কনস্টেবল। রাতেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলা হয়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের কেএমসি ইউনিটে রাখা হয়। পরদিন এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় শিশুটিকে রেখে চলে আসেন ওই নারী কনস্টেবল। মঙ্গলবার দুপুর ১টার পর তাকে আর দেখা যায়নি।

শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত পালন করা ইন্টার্ন নার্স আকলিমা খাতুন বলেন, দুপুর ১২টার দিকে শিশুটির অভিভাবক পরিচয়ে দুই নারী কেএমসি ইউনিটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। পাশের কক্ষে রোগী দেখতে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখি শিশুটি এবং ওই দুই নারী নেই।

শিশু বিভাগের প্রধান ডা. রতন কুমার সিংহ বলেন, মঙ্গলবার সকালে ৪-৫ দিন বয়সী ওই শিশুকন্যাকে দেখার পর একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। শিশুটি কীভাবে চুরি হলো তাঁর জানা নেই।

শিশুটিকে দত্তক নিতে ১০ থেকে ১৫টি পরিবার আবেদন জানিয়েছিল। আবেদনকারীদের মধ্যে নওগাঁ শহরের হাট-নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা জামিল-লাখি বেগম দম্পত্তি বলেন, শিশুটিকে আদালতের মাধ্যমে দত্তক নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ চুরির দায় এড়াতে পারে না।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জিডি করেছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, শিশুটিকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আমরা নিজেদের হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। বাচ্চাটিকে কীভাবে নিয়ে গেছে, আমার জানা নেই। তিনি বলেন, আমাদের কোনো দায়িত্বে অবহেলা ছিল না। শুনেছি বাচ্চাটির মা ও নানি পরিচয়দানকারী দুই নারী তাকে নিয়ে গেছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2