avertisements 2

দেড়যুগ পর জানা গেল, কারারক্ষী পদে কুলাউড়ার জহিরুলের চাকরি করছেন কুমিল্লার জহিরুল!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৯ পিএম, ২২ জানুয়ারী, বুধবার,২০২৫

Text

বামে কুমিল্লার জহিরুল ইসলাম, ডানে কুলাউড়ার জহিরুল ইসলাম এশু। ছবি: সংগৃহীত

জহিরুল ইসলাম ওরফে এশু। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের জয়পাশা এলাকা বাসিন্দা তিনি। ২০০৩ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে পুলিশি তদন্তও হয়। এর পর দীর্ঘ অপেক্ষার পরও চাকরিতে যোগ দেওয়ার নিয়োগপত্র না পেয়ে অন্য ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস। ঢাকা কুলাউড়া পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে জহিরুলের নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য একটি চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠিতে জহিরুল ইসলাম কারারক্ষী (ক্রমিক নম্বর-২২০১৪) পদে কর্মরত বলে উল্লেখ করা হয়। কাউন্সিলরের কাছ থেকে এ খবর পেয়ে অবাক হন জহিরুল। পরে এ বিষয়ে কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। জিডিতে তার স্থলে অন্য কেউ চাকরি করছেন বলে উল্লেখ করেন জহিরুল।

এরপর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারে একই ক্রমিক নম্বরে জহিরুল ইসলাম নামের কুমিল্লার আরেক ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে কারারক্ষী পদে চাকরি করছেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রকৃত জহিরুলের নাম-ঠিকানা জালিয়াতি করার সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকৃত জহিরুল ইসলাম তার চাকরি ফিরে পেতে ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

সিলেটের ভারপ্রাপ্ত কারা উপ মহাপরিদর্শক কামাল হোসেন শনিবার বিকালে মুঠোফোনে ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়েছে। এখন জহিরুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বিষয়টি দেখছেন।

ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু বলেন, ‘কাউন্সিলরের কাছে নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের চিঠি না এলে প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হতো না। আমি তো আশাই ছেড়ে দিছিলাম। ১৮ বছর পর জানলাম, আমার জায়গায় আরেকজন চাকরি করছে। আমি চাকরি ফিরে পেতে চাই বং এবং ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি চাই।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2