গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর আর নেই
গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর আর নেই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনায় আক্রান্ত প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন।
ফকির আলমগীরের ভাতিজা মাহবুবুর রহমান ফকির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৫ জুলাই থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুলাই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ১৫ জুলাই সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উল্লেখ্য, ফকির আলমগীর একজন কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। অবশ্য এর আগে ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত গেয়ে আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি।
স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে
প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
তার আগে আজ শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে খিলগাঁও পল্লীমা সংসদে ফকির আলমগীরের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দুপুর ১টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে শহীদ মিনারে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে বাদ যোহর খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হবে। পরে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।