খেটে ওঠা চেটে ওঠা
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৪৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চমৎকার এক হেডলাইন বটে!
চাটা খাটাদের অসম ঈদুর দৌঁড়ে
চাটারাই আজ রাম রাজত্বের
শিরোমনি - রাজা মহাধিরাজ।
এ এক ব্রীড়িত আগ্নেয় লাভা।
চারিদিক ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার
যেন অমাবস্যা লেগেছে এই পদে।
তবুও কাসরঘন্টা সানাইয়ের সুর - দূর
ঘুমটি ঘরে বেজে ওঠা ঢং ঢং শব্দ
আবুল কাশেমের ছনের বারান্দায়
শিশুপুত্র নিয়ে পুঁথি পাঠের সুরেলা কন্ঠ
এ এক এক টর্চ লাইটের লক্ষ্যভেদী চমক!
এই টর্চ আমাকে অনেকটুকু হাঁটাতে চায়।
খাটা চাটাদের ব্যবচ্ছেদ ঘটাতে
শান বাঁধানো ঘাটে বসিয়ে শোলকবালা কাজলা দিদির গান শোনানো হয় আমাকে।
মাথায় শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশীর চাঁদ
হাত নেড়ে বলে - ভয় নেই।
ঐ যে বাঁশঝাড়ের শির ঝুকানো দুলুনি
অদ্ভুতুড়ে ঝপাং ঝপাত শব্দ - শিয়ালের
ছোঁ মারা দৌঁড়, ভয় পেয়ো না।
পুকুরের টলমলে জলের স্বচ্ছ্বতায় তুমি
একদিন প্রস্ফুটিত হবে - যখন চাটা খটাদের ওঠার সিঁড়িতে শুধু একটিই
সিংহ দুয়ার তোমার মেধা ও সততার
জয়গানে ফুলেল সুবাস ছড়াবে।
খেটে ওঠারা আজ খাবি খাচ্ছে নাভিশ্বাস
অবনীটা খেটে হাকিম হয়েছে বটে,
তবে আপন তরাজুর চাপে ও যেন
রায় বাড়িতেই থিতু রয়ে গেল।
আর কাদামাটির আবুল হাবুলরা!
রায় সৈয়দ আর চাটাদের অনন্ত পেশীর
জৌলুশে নিজেদের খেই খোঁজার জালে ছটপট অহর্নিশি-টিকে থাকার যপে।
চারিদকে দলভারী চেটে ওঠার পাল
ভরা অমাবশ্যায় পুর্ণিমার চাঁদ ওরা!
ওদেরই দাপটে জ্বলে ট্রেজারীর আলো
ওরা হাঁটুরে হয়েছে সবখানে।
পরম্পরা রাজনীতির মোসাহেব ওরা
সমগ্র আলয় জুড়ে দৃপ্যমান জ্যোতি!
বাংলার জমিনে এরা বিমূর্ত বেনজীর
উপচে পড়া বৈভবে জ্ঞানশুন্য বটে।
রেনুবালাদের কোলে চড়ার উদগ্র বাসনায়
সেকেন্ড হোম বেগমপাড়া ওদেরই খায়েশে।
শোন হে চেটে ওঠা শিরোমনি যারা
ক্ষনিকের ঝলকানি-নেই কোন আহামরি
ওয়ান টাইম ইকোনো হয়ে আর কতকাল!
আপন অস্মিতায় এসো অবগাহন করি
উইংসান পাইলটের পাদদেশে বসে।
গুরুদীক্ষা নাও তব অস্তিত্ব বাঁচাতে।
পঞ্চাশ - পাঁচ'শ নয় হাজার সাল ধরে
হেঁটে যেতে চাই মোরা আপন বৈভবে।