বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করলেন জামায়াত সেক্রেটারি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ১৫ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করলেন জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি এবং তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। বৃহস্পতিবার ২০ দলীয় জোটের দুই নেতার স্মরণসভায় জামায়াত নেতা পরওয়ার একথা বলেন।
ঢাকার সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব ও জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের নেতা নূর হোসাইন কাসেমি ও মুসলীগ লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খানের মৃত্যুতে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করে জামায়াত নেতা পরওয়ার বলেন, ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন, জীবন দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বিদায়ের পরে এ দেশে গণতন্ত্রের কথা যারা বলছেন, আমি মনে করি তারা সেই গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারেননি।
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আর তার উত্তরসূরি যারা আছেন তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, হত্যা করেছেন।’
এসময় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার এদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, গণতন্ত্র হরণ করেছে, বাকস্বাধীনতা হরণ করছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে, দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে।’
পরওয়ার বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের যারা ক্ষমতায় আছেন এই সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার, জনগণের ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসেনি। এই সরকারের অধীনে ভোট নিরাপদ নয়। এখন দাবি উঠেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
বর্তমান সরকারের অধীনে স্বাধীনতা, ইসলামী মূল্যবোধ, জাতীয়তাবাদ কোনো কিছুই নিরাপদ নয় বলেও দাবি করেন স্বাধীনতাবিরোধী দলটির দ্বিতীয় প্রধান নেতা। তিনি বলেন, ‘একটি বিদেশি আধিপত্যবাদের হাতে দেশকে তুলে দেয়ার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। দেশের কল-কারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান সবকিছু বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।’
করোনার সময় সরকার দুর্নীতি করছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই করোনা মহামারির সময়ও বাংলাদেশে সীমাহীন দুর্নীতি করছে সরকার। এ সময়ে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটিপতির জন্ম হয়েছে দেশে। তাই আমি বলি, একটি বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে আমাদের লাভ নেই। কথা একটাই, এই সরকারের এমন করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে সেটা তারা চিন্তাও করতে পারবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, জামায়াত নেতা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারমান মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।