নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা সৈয়দপুর!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ও বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বাড়ি-ঘরে পানি ওঠে, বৃষ্টি থেমে গেলেও সড়কে জমা পানি নামে না। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পৌরবাসীকে। দৈনন্দিন কাজকর্মেও বাধা পান তারা।
বৃষ্টির দিন সরেজমিনে গিয়ে শহরের নতুন বাবুপাড়া, বাঁশবাড়ি, গোলাহাট, কুন্দল, নয়া বাজার, ইসলামবাগ, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া, হাতিখানা, পুরাতন বাবুপাড়া এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায় এলাকার অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে প্রায় ২ ফুট পানির নিচে। সড়কের পানি ঢুকে পড়েছে স্থানীয়দের ঘর-বাড়িতে।
শহরের প্রধান সড়ক শহীদ ডা. জিকরুল হক ও শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কেও পানি ওঠে। নর্দমায় স্ল্যাব না থাকায় এ দুটি রাস্তায় অবস্থা হয়ে যায় বেগতিক। স্থানীয়রা চলাচলের সময় ড্রেনে পড়ে যায়। সময়মত পরিষ্কার না হওয়ায় কোথাও নিষ্কাশন ক্ষমতা নেই। স্থানীরা বলছেন এ পৌরসভা নামেই প্রথম। বৃষ্টি-বন্যা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কোনো কার্যকারিতাই নেই।
অনেক এলাকায় দোকান পাট ও গুদামঘরে পানি ঢুকতে দেখা গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীমের বাসার সামনেও ব্যাপক পানি জমে।
শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কের কাপড় ব্যবসায়ী আজিম খান জানান, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এসব পরিষ্কার ও সংস্কার করা হয় না। কাজেই একটু খানি বৃষ্টি হলেই শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমাদের এই রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়।
বাঁশবাড়ি এলাকার সাদরা লেনের বাসিন্দা রেজানুর মাহবুব অভিযোগ করেন, এলাকার ব্যাকবন ড্রেনটি দখল হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ার পথ না থাকায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এ নিয়ে এলাকার কাউন্সিলর ও পৌর মেয়রের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও ফল মেলেনি।
শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকায় শহীদ ডা. বদিউজ্জামান সড়কের উভয়পাশে বসবাসকারী গৃহিনী ও গৃহকর্তাদের বালতি দিয়ে পানি সরাতে দেখা যায়। টানা বৃষ্টির কারণে ওই এলাকার সব ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
এসব ব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, পৌরসভার ড্রেন নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণ- গৃহস্থালি আবর্জনা নর্দমায় ফেলা ও পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার। এ জন্য যথেষ্ট সচেতনতামূলক কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।