চাকরি হারালেন ত্ব-হার বন্ধু সিয়াম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ জুন,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের বন্ধু সিয়াম ইবনে শরীফ চাকরিচ্যুত হয়েছেন। ত্ব-হা তার দুই সঙ্গী ও গাড়িচালককে নিয়ে বন্ধু সিয়ামের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার ত্রিমোহনীতে আট দিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করছে পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে সিয়ামকে চাকরিচ্যুত করেছে মোবাইল ফোন কোম্পানি অপো। সিয়াম রংপুরে অপোর মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
রোববার (২০ জুন) নিজের চাকরি হারানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সিয়াম ইবনে শরীফ। ত্ব-হা ইস্যুতে শনিবার (১৯ জুন) তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে তিনি জানান।
সিয়াম বলেন, আমার বন্ধু আবু ত্ব-হাসহ চারজন গাইবান্ধায় আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল, এটা আমাকে জানানো হয়নি। এ কারণে ত্ব-হার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে আমি নিজেও উদ্বিগ্ন ছিলাম। অন্য বন্ধু-বান্ধবদের মতো ত্ব-হার সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ ত্ব-হাকে উদ্ধারের পর জানলাম, সে আত্মগোপনে ছিল। এবং সেটা নাকি আমাদের বাড়িতেই। আমার মা ত্ব-হাদের সেখানে লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে আমাকে কিছু জানায়নি। অথচ এখন অভিযোগ করা হচ্ছে, আমি নাকি তাদেরকে লুকিয়ে রেখে মানববন্ধন করেছি। এটা মিথ্যা অভিযোগ, আমি কিছুই জানতাম না।
পুলিশের দাবি, আবু ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা নিখোঁজ হননি, তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। এর নেপথ্যে আবু ত্ব-হার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কিছু কারণ রয়েছে। যা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে ত্ব-হা রংপুরের প্রথম স্ত্রীর বাবার বাড়িতে উপস্থিত হন বলে জানান কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ। পরে কোতোয়ালি থানা থেকে রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ওইদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে তাদের মহানগর আমলি আদালতে (কোতোয়ালি) নেয়া হয়। এরপর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কেএম হাফিজুর রহমানের কাছে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ, তার সঙ্গী আব্দুল মুহিত ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল ইসলাম সেদিন জানান, আদালত ‘স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে’ যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের পরিবারের কাছে নিজ নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১০ জুন রংপুর থেকে ঢাকার বাসায় ফেরার পথে আবু ত্ব-হাসহ চারজন নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ ছিল। আবু ত্ব-হার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গাবতলী থেকে তারা নিখোঁজ হন। আবু ত্ব-হার সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন আরো তিনজন।
এ নিয়ে আবু ত্ব-হার মা আজেদা বেগম রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সারা ঢাকার পল্লবী থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন। এছাড়া গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজের ভাই ফয়সাল রংপুরে আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করেন।