avertisements 2
Text

রাশেদুল ইসলাম

ব্রিটিশ ভারতের ‘অবরোধ-বাসিনি’রাঃ এখন কোথায় ও কেন ?

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ মার্চ,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:৪৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

‘অবরোধ-বাসিনি’ বেগম রোকেয়ার একটি বিখ্যাত গ্রন্থ । ১৯৩১ সালে প্রকাশিত । তখন ব্রিটিশের রাজত্ব চলছে । সে সময়ে সমাজে পর্দা প্রথার কড়াকড়ি এবং পর্দার নামে  নারীদের প্রতি সমাজের অমানবিক আচরণের  চিত্র তিনি এ গ্রন্থে সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । বেগম রোকেয়া নিজে  একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । তৎকালীন সামাজিক প্রথা অনুযায়ী  তাঁকেও  ৫ বছর বয়স থেকে  কঠোর পর্দার মধ্যে নারীজীবন শুরু করতে হয় । সে সময়কালে পর্দা প্রথার নামে পরিবারে অবরুদ্ধ নারীদেরকে  তিনি ‘অবরোধ-বাসিনি’  বলে উল্লেখ করেছেন ।

‘অবরোধ-বাসিনি’ গ্রন্থে বেগম রোকেয়া ৪৭টি বাস্তব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন । সে সব ঘটনা থেকে শুধু মুসলমান নারী নয়, তৎকালে হিন্দু নারীও যে পর্দা প্রথার কারণে একই ভাবে ‘অবরোধ-বাসিনি’  ছিলেন,  তার প্রমাণ মেলে । যেমন,  গ্রন্থটিতে একজন হিন্দু বঁধুর কথা বলা  হয়েছে, যিনি একটি মেলায় ভিড়ের মধ্যে স্বামী ও শাশুড়িকে হারিয়ে ফেলেন । কাউকে খুঁজে না পেয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন । শেষে তাঁর স্বামীর মত  হলুদ পাড়ের ধূতি পরা  একজনকে পেয়ে লোকটির অজান্তে  তাঁর পিছনে হাঁটতে থাকেন তিনি । একসময় পুলিশ সেই লোকটিকে অন্যের স্ত্রী  নিয়ে যাওয়ার কারণে  আটক করলে তিনি অবাক হন  ।  বউটি জানান, তিনি বাড়িতে  সবসময় ঘোমটা পরে থাকার কারণে স্বামীর চেহারা দেখার কখনও  সুযোগ পাননি । তিনি শুধু স্বামীর হলুদ পাড়ের ধুতিই চিনতেন । এ কারণে ভুলবশত তিনি সেই লোকটিকে নিজের স্বামী মনে করে ভুল  করেছেন ।  
তারমানে ব্রিটিশ ভারতে শুধু মুসলিম নারী নয়, সনাতন হিন্দু ধর্মের নারীও অবরোধ- বাসিনি ছিলেন । বোধহয় একারণেই বাংলা অভিধানে  কেবল  নারীদের জন্য প্রযোজ্য  ‘অসূর্যস্পশ্যা’ শব্দটি  পাওয়া যায় –যার অর্থ অন্তঃপুরবাসিনি সেই নারী,  যিনি সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখেননি ।
প্রশ্ন হতে পারে ব্রিটিশ ভারতে কোন পুরুষ নয়, নারীরা কেন ‘অবরোধ-বাসিনি’  ছিলেন । নারীদের বর্তমান অবস্থানই বা  কি  ? ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস ।  ২০২৪ সালের এই  বিশ্ব নারী দিবসে এই তুলনামূলক আলোচনা করা যেতেই পারে । 

প্রশ্ন ছিল,   নারী অবরোধ বাসিনি কেন হবেন ? 
এ প্রশ্নের এক কথায় উত্তর, ধর্মের বিধান ।
বেগম রোকেয়ার ‘অবরোধ-বাসিনি’তে এটা সুস্পষ্ট যে, বেগম রোকেয়া নিজে একজন মুসলিম নারী হিসেবে পর্দা প্রথার বিপক্ষে কিছু বলেননি । মূলত পর্দা প্রথাকে কেন্দ্র করে সমাজে নারীদের প্রতি যে অবহেলা ও অন্যায় আচরণের  বাড়াবাড়ি  ছিল, সেই বাড়াবাড়ির  বিপক্ষে কথা বলেছেন তিনি । সেই বাড়াবাড়ি থেকে   নারীর  মুক্তির কথা বলেছেন । নারী  অধিকার আদায়ের  আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তিনি । তবে  এসব বিষয়ে পবিত্র কোরানের আলোকে  ইসলামের  প্রকৃত  বিধান নিয়ে তিনি কোন কথা বলেননি । 
ব্রিটিশ ভারতে ‘অবরোধ-বাসিনি’ হিন্দু রমনীদের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর ছিল । কঠোর বর্ণ প্রথার কারণে হিন্দু কুমারী মেয়েদের পাত্র পাওয়া কঠিন ছিল । যে কারণে ধর্ম রক্ষা করতে গিয়েই অনেক বাবামা বেশি বয়স্ক পুরুষের সাথে মেয়েকে  বিয়ে দিতে বাধ্য হতেন ।  বাস্তব কারণেই সেই মেয়ে যখন বিধবা হতেন, তখন স্বামীর জলন্ত চিতার আগুনে তাঁকে  পুড়িয়ে মারা  হতো-  যা সতীদাহ প্রথা নামে পরিচিত ।  সনাতন হিন্দু ধর্মের এসব ‘অবরোধ-বাসিনি’ নারীদের মুক্তির জন্য যারা  তৎকালে কাজ করেছেন,  তাঁদের মধ্যে রাজা রামমোহন রায়ের  নাম আসে সবার আগে । 
সতীদাহ প্রথা নিরসন প্রশ্নে  রাজা রাম মোহন রায়  প্রথমেই  সতীদাহ প্রথার অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানে ব্রত হন ।  প্রশ্ন আসে,  সতীদাহ প্রথা কি  সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রকৃত বিধান, না তা দীর্ঘদিন থেকে  চলে আসা ধর্মীয় একটি  লোকাচার মাত্র  ? রাজা রামমোহন রায় গতানুগতিক চিন্তার কোন ধার্মিক ছিলেন না । প্রকৃতপক্ষে তিনি  ছিলেন সমাজ সংস্কারক । তিনি জানতেন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হয় । ধর্মীয় চিন্তা থেকে উদ্ভূত  কোন সমস্যা সমাধানের বীজ সেই ধর্মের মধ্যেই নিহিত থাকার কথা । মূলত এই চিন্তা থেকেই তিনি  সনাতন হিন্দু ধর্মের মূল গ্রন্থ বেদ,  উপনিষদের উপর ব্যাপক অধ্যয়ন করেন । সেখান থেকেই তিনি  এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, সতীদাহ প্রথা সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রকৃত বিধান নয়- শাস্ত্র বহির্ভূত একটি  লোকাচার মাত্র।  ফলে  এ বিষয়ে জনমত সৃষ্টি করা এবং তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিঙ্ককে দিয়ে ১৮২৯ সালে সদীদাহ প্রথা বাতিল আইন  করতে  সক্ষম হন তিনি । তবে,  ধর্মীয় লোকাচারের ভিত যে কত শক্ত,  তার প্রমাণ মেলে সতীদাহ প্রথার সমর্থকদের পরবর্তী কার্যকলাপে । হিন্দু ধর্মের রক্ষণশীল প্রভাবশালী ব্যক্তিগন উক্ত আইন রদ করার জন্য লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করেন ।  তৎকালীন মোঘল সম্রাট রাম মোহনের পক্ষ নেন এবং তাঁকে বিলাত পাঠান । রাম মোহন রায় বেদ উপনিষদের ব্যাখ্যা দিয়ে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে,  সতীদাহ প্রথা প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মের কোন বিধান নয় । প্রিভি কাউন্সিল লর্ড বেন্টিঙ্কের আদেশ বহাল রাখেন । এই মামলায় বিজয়ের কারণেই মোঘল সম্রাট রামমোহন রায়কে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন (সূত্র উইকিপিডিয়া)।  সতীদাহ প্রথা বাতিল আইনের  ধারাবাহিকতায়     পরবর্তীতে  ১৮৫৬  সালে বলবতকৃত  বিধবা বিবাহ আইন ‘অবরোধ-বাসিনি’ হিন্দু রমনীদের মুক্তির পথ অনেক সুগম করে দেয় ।  
প্রসঙ্গত ধর্মীয় লোকাচারের একটা ব্যাখ্যা এখানে দেওয়া যেতে পারে । যখন  কোন অঞ্চলের ধর্মবিশ্বাসী মানুষের নিজের ধর্ম বিষয়ে স্বচ্ছ  ধারণা  না থাকে, বা ধর্ম বিষয়ে তাঁদের স্বচ্ছ  ধারণা গ্রহনের সুযোগ না থাকে,  তখন সেই ধর্মবিশ্বাসী মানুষের মধ্যে  বিভিন্ন ধর্মীয় লোকাচারের জন্ম হয় । ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত প্রধান দু’টি ধর্ম-  ইসলাম এবং সনাতন হিন্দু,   উভয় ধর্মের ক্ষেত্রে এ কথা সমান প্রযোজ্য । এর প্রধান কারণ মূলত  ভাষাগত । এই দুটি ধর্মের  ধর্মগ্রন্থের ভাষা যথাক্রমে  আরবী ও সংস্কৃত-  এ উপমহাদেশের মানুষের মাতৃভাষা নয় ।  
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থ বেদ,  উপনিষদ বা ভগবত গীতা –সবই সংস্কৃত ভাষায় রচিত । ব্রিটিশ ভারতে কঠোর বর্ণ প্রথার কারণে ব্রাম্মন ছাড়া অন্য কোন বর্ণের ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য সংস্কৃত ভাষা জানা নিষিদ্ধ ছিল । ফলে,  একজন ব্রাম্মন বা পুরোহিত ধর্মের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন,  সেটাই তাঁদের ধর্ম । নিজে এসব যাচাই করা বা  প্রকৃত ধর্মের বিধান জানার কোন সুযোগ তাঁদের ছিল না । ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় লোকাচার  সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসে স্থায়ী আসন গেড়ে বসে । ধর্মবিশ্বাসী মানুষের মনে স্থায়ী আসন গাড়ার কারনেই আইনগতভাবে সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ করা হলেও,  বাস্তবে  পরবর্তী বহু বছর যাবত সতীদাহ প্রথা এ উপমহাদেশে বলবত ছিল । একথা বললে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না যে, কোলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত না হলে এবং উইলিয়াম কেরির মত মহানুভব ব্যক্তি  উক্ত কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান না হলে,  সনাতন হিন্দু ধর্মের বেদ উপনিষদের বাংলায় অনুবাদ করা হয়ত  সম্ভব ছিল না । সেক্ষেত্রে নিজের মাতৃভাষায় নিজের ধর্মকে জানা বোধহয় সাধারণ সনাতন ধর্মবিশ্বাসী মানুষের পক্ষে সম্ভব হত না । 
মুসলমানদের সৌভাগ্য এই যে, যে কোন ধর্ম বিশ্বাসী মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ  কোরআন পড়তে পারেন। তবে,  কোরআন পাঠ করা বা তেলওয়াত করার বিষয়ে  মুসলমানদের  উৎসাহিত করা হলেও  কোরানের প্রকৃত অর্থ জানার ব্যাপারে মোটেও উৎসাহিত করা হয়নি । বরং নিরুৎসাহিত করা হয়েছে ।   ব্রিটিশ ভারতে যারাই কোরানের বাংলা অনুবাদ করতে চেয়েছেন, তারাই সমাজে বিভিন্নভাবে  নিপীড়নের  শিকার হয়েছেন । ফলে,  নিজের ধর্মগ্রন্থের প্রকৃত বিধান না জানার কারণে সাধারণ  মুসলমানদের মধ্যেও বিভিন্ন ধর্মীয় লোকাচার জন্ম নেয় । মুসলমানদের  ক্ষেত্রেও জানা অত্যাবশ্যক ছিল ধর্মের  যে বিধানের আওতায় নারীদের ‘অবরোধ-বাসিনি’ করা হয়েছে, সত্যিই, তা    ইসলাম ধর্মের বিধান  কি না ? সত্যিই  কি সেই কড়াকড়ি  প্রথা  কোরআন সম্মত কি না  ? কিন্তু, বাস্তবে তা করা হয়নি । 
অতি সম্প্রতি, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষিকা হিজাব না পরার কারণে  ৭ম শ্রেনির ৯ জন ছাত্রীর মাথার চুল কেটে নিয়েছেন । খবরে জানা যায়,  এই ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।  লক্ষণীয় যে, এক্ষেত্রেও সমস্যার মূল কারণ  খুঁজে বের করার কোন চেষ্টা করা হয়নি । ফলে,  শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে সচেতন নাগরিক সমাজ একদিকে যেমন খুশি হয়েছেন, অন্যদিকে হিজাব ব্যবহারের পক্ষে কাজ করার জন্য উক্ত শিক্ষিকার পক্ষে এদেশের সাধারণ লাখ লাখ ধর্মবিশ্বাসী  মানুষ মনে মনে অবস্থান নিয়েছেন । কারণ, সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের  অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, একজন নারীর  মাথা, মুখ ও গোটা শরীর  ঢেকে  রাখা ইসলামের বিধান মতে বাধ্যতামূলক ।  এই ধর্ম বিশ্বাসের কারণেই  ব্রিটিশ ভারতের নারীদের মত ‘অবরোধ-বাসিনি’ হওয়া এবং ‘অবরোধ-বাসিনি’তে রপান্তর করার মানসিকতা এদেশের সাধারণ ধর্ম বিশ্বাসী মানুষের অনেকের মধ্যে রয়ে গেছে । 
 কিন্তু আর একটি অপ্রিয় বাস্তবতা এই যে,   বিজ্ঞানের যে  শিক্ষিকা মুখ মাথা ঢাকা  হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য   তাঁর ছাত্রীদের মাথার চুল কেটে অপমান করেছেন, সম্ভবত তিনি নিজে বিষয়টি  কোরআন সম্মত কি না,  তা যাচাই করেন নি।  ব্রিটিশ ভারতেও  যারা নারীদের পর্দা প্রথার নামে  ‘অবরোধ-বাসিনি’ করেছেন,    তাঁরাও  পবিত্র কোরানের প্রকৃত  বিধান জানার চেষ্টা করেছেন বলে  মনে হয়না । ফলে,  একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে । ধর্মের প্রকৃত বিধান যদি সাধারণ ধর্ম বিশ্বাসী মানুষকে যথানিয়মে (মসজিদের ইমাম ও আলেমদের মাধ্যমে)  অবহিত  করা না  হয়, তাহলে এ সমস্যার আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটবে – এবং তা স্বাভাবিক । 
সকলের বোঝার সুবিধার্থে  মুসলিম নারীদের পর্দা করা  বিষয়ে কোরানের বিধানের  হুবহু বাংলা অনুবাদ নিচে দেওয়া হোলঃ  
 (“হে নবী) বিশ্বাসী নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে শালীন রাখে, লজ্জাস্থানসমূহ ঢেকে চলে এবং যৌনআকাংখাকে সংযত রাখে । ...তাদের সৌন্দর্য ও মাধুর্য যেন জনসম্মুখে প্রকাশ না করে । তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার ওড়না দ্বারা ঢাকা থাকে”। ... (আয়াত ৩১, সূরা নূর)। 
পবিত্র কোরানের এই আয়াতে নারীদের মাথা ও মুখ সম্পূর্ণ ঢেকে রাখার বিধান দেওয়া হয়নি । এক কথায় মুসলিম নারীদের শালীন ও মার্জিত  পোশাক পরার কথা বলা হয়েছে মাত্র  । এ কারণে,  ইসলামের পবিত্রতম দুটি স্থান  –মসজিদুল হারাম বা কাবা শরীফ এবং মসজিদে  নব্বী (আমাদের প্রিয় নবীর রওজা) এ দুটি স্থানে নারী ও পুরুষের প্রবেশাধিকার থাকলেও,  কোনটাতে মুখ ঢাকা কোন নারীর  প্রবেশাধিকার নেই ।  
প্রকৃত পক্ষে পবিত্র কোরানের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ  অনেক ধর্মীয় লোকাচার ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য প্রকাশের পথে অনেক বড় অন্তরায় হিসেবে কাজ করে । অনেক ক্ষেত্রে তা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিকাশের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় । এ ধরণের লোকাচার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমাজে নারীদের মানুষ হিসেবে অবমুল্যায়নে কাজ করে ।  এদেশের বিজ্ঞ আলেম সমাজ এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সচেতন নাগরিক সমাজ  এ বিষয়ে কার্যকর  প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিবেন – বিশ্ব নারী দিবসে এ প্রত্যাশা আমাদের সকলের । 

লেখকঃ সাবেক সচিব ও লেখক । 
 

বিষয়:
avertisements 2
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির  মৃত্যু
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেলেন হামজা
বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেলেন হামজা
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও মঈনসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও মঈনসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2