ভুল জায়গায় চ্যাটিং, ৫ লাখ টাকা খুইয়ে তৌসিফের বিরুদ্ধে গৃহবধূর অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৭ এএম, ১৮ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ছোট পর্দার অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন এক গৃহবধূ। ‘নাটকের অভিনেত্রী বানাবেন’ বলে ওই নারীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তৌসিফ- এমনই অভিযোগ গৃহবধূর।
তবে তৌসিফ বলছেন ভুল ফেসবুক ফ্রেন্ডের সঙ্গে চ্যাটিং করে টাকা খুইয়েছেন ওই নারী। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হাজির হয়ে তৌসিফের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন তিনি। যার নম্বর ৭৫৫।
এদিকে, এ অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে রোববার (১৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ধানমণ্ডি মডেল থানায় হাজির হয়ে পাল্টা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তৌসিফ। যার নম্বর ৮৬৮।
জিডিতে তৌসিফ উল্লেখ করেন, শামসুন্নাহার কণা (৩৬) নামের গৃহবধূ যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ করে, সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে ওই জিডি করা হয়েছে।
প্রতারণার বিষয়টি উল্লেখ করে তৌসিফ বলেন, একটা ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কথা বলে যদি কেউ টাকা খোয়ায়, তাহলে তার জন্য কি আমি দায়ী? আমার অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করা। কেউ যদি ভুল জায়গায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়, তার দায়ভার আমি কেনো নেবো। আর এভাবে কেউ কাউকে এত টাকা দেয় নাকি। আমি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কথা বলেছি। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। তিনি আমাকে সবার কাছে ছোট করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে তৌসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা শামসুন্নাহার কণা তার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ফেসবুকে তৌসিফের সঙ্গে ১৮ মাস আগে পরিচয় হয় তার। অভিনেত্রী বানিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই আইডি থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে।
তৌসিফ বলছেন, ‘পুরোপুরি দোষ ভুক্তভোগীকে দিচ্ছি না। এর নেপথ্যে থাকা ওই প্রতারককে আটকের চেষ্টা চলছে জানিয়ে বলেন, শিগগিরই এ ঘটনার মূল অপরাধী ধরা পড়বে। ’
ছয় মাস আগে ০১৬**৯৭৮৯০৯ এই নাম্বারে কণার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন তৌসিফ নামের ওই ফেসবুকের নেপথ্যের অপরাধী। এরপর তৃতীয় পক্ষ শাহরিয়া হোসেনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক, সাহাপুর শাখা, চাটখিল, নোয়াখালী, অ্যাকাউন্ট নম্বর ৩৪১০০৪৪১ হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় আরো তিন লাখ বিশ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পর তৌসিফ তরুণীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। তার ব্যবহৃত সব নম্বর বন্ধ করে দেন।