avertisements 2

পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই: মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, 'শত শত লোক আহত হয়েছে। এমন হলে আমি কীভাবে কী করব? আমাকে এমনভাবে কেন টার্গেট করা হচ্ছে? আমাকে কেন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না? এগুলো আমার প্রশ্ন নয়, নগরবাসীর প্রশ্ন।'

'বরিশালে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে প্রশাসনের লোকজন, তাতে আমার পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই। আমাকে তারা কাজ করতে দিচ্ছে না। কার ইশারায় এমনটা করছে তারা? আমার কাজে মনোনিবেশ করতে পারছি না তাদের কারণে। তারা সব প্যাকড হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন।’

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর বুধবার রাত ৩টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

ঘটনার বর্ণনা দি‌তে গি‌য়ে তিনি বলেন, 'নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের রেগুলার কাজ। সেই অনুযায়ী আমার করপোরেশনের কর্মীরা রাতে উপজেলার পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন ব্যানার অপসারণে যায়। এ সময় ইউএনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের লোকজনের ওপর গুলি চালায়। এতে আমার প্রশাসনিক কর্মকর্তাও আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় আরো অনেকে।'

মেয়র বলেন, খবর শোনার পর আমি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের ঘটনাস্থলে পাঠাই বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য। তবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরও গালাগাল করে ইউএনও। পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমার ওপরও গুলি চালানো হয়। আমার শরীরেও গুলি লাগে। এরপরই আমার লোকজন আমাকে ঘিরে রাখে। আমার মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবুকেও আটকে রাখে।

তিনি বলেন, আসলে আমি কষ্ট পেয়ে লজ্জায় সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। প্যানেল মেয়রদের রেখে আসি, যাতে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। পরে শুনি পুলিশ গিয়ে আমার নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও মু‌নিবুর রহমান বলেন, ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক রা‌জিব আমার কম্পাউন্ডে ঢুকে ব্যানার ছিঁড়তে থাকে। তাদের নিষেধ করা হলে তারা আমাকে ঘি‌রে ধরে। এ সময় আমার সেফ‌টির জন্য আনসার সদস্যরা যেটা প্রয়োজন সেটা করেছে।

তি‌নি আরো বলেন, ঘরে আমার বৃদ্ধ বাবা-মা করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে এমন ঘটনায় আমি আতঙ্কিত।

ব‌রিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উ‌দ্দীন হায়দার বলেন, ব্যানার অপসারণ করতে হলে সেটা আমাদের আগে জানাতে পারত। এখন অনাকা‌ঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

ব‌রিশাল মেট্রোপলিটন পু‌লি‌শের অতি‌রিক্ত ক‌মিশনার এনামুল হক বলেন, 'কিছু স্থানীয় লোকজন সদর উপজেলা প‌রিষদ প্রাঙ্গণে রাতে ব্যানার খুলতে আসে। ইউএনও সাহেব তাদের সকালে আসতে বলেন। কিন্তু তা না করে ইউএনও সাহেবের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে তার বাসায় হামলার চেষ্টা করলে আনসার সদস্যরা গু‌লি ছোড়ে। প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পু‌লিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন পু‌লিশ সদস্য আহত হয়েছেন।'

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2