নওশাদের ছবিটি এখন শুধুই স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি
নওশাদের ছবিটি এখন শুধুই স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৫ এএম, ৮ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শতাধিক জীবন বাঁচিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউম (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া নওশাদ সোমবার (৩০ আগস্ট) ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শতাধিক জীবন বাঁচিয়ে রাখা ক্যাপ্টেন নওশাদ কেবল এখন সবার কাছে স্মৃতি। এ ফেরা শেষ ফেরা। বিমানের যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন দেশে যেতে তাকে আর কখনও দেখা যাবে না।
সন্তানদের সঙ্গে ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
দুই কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের সঙ্গে নওশাদের এই ছবিটি বিদেশের কোনো সাগর পাড়ে তোলা হয়েছিল। ছবিটি ২০১৫ সালের এপ্রিলে নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন তিনি। ছবিটি এখন শুধুই স্মৃতি।
এর আগে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে পৌঁছান সেখানে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দুই বোন। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ক্যাপ্টেন নওশাদকে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালু রাখার মত দেন।
গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। পরে ফ্লাইটটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান।
বিমান সূত্রে জানা যায়, আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান এবং একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন নওশাদের কারণে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ১২৪ যাত্রীর জীবন রক্ষা পায়। পাঁচ বছর আগেও ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।