ওসি প্রদীপ দম্পতির আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
ওসি প্রদীপ দম্পতির আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভ‚ত অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যপ্রমাণসহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সম্পদ স্ত্রী চুমকি কারণের নামে অবৈধভাবে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেন প্রদীপ। দুদকের অভিযোগপত্রে প্রদীপের সঙ্গে ও তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদুল হক এ তথ্য জানান। তিনি জানান প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন সোমবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। ১৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ২৯ জনকে। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির সময় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক।
গত বছরের ২৩ আগস্ট দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে দুদক অভিযোগ করে। আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য বিবরণীতে গোপন করার অভিযোগও আনা হয়।
অভিযোগপত্রে প্রদীপের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভ‚ত সম্পদ অর্জন করে সেই সম্পদ স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক মানিলন্ডারিংয়ের তথ্যপ্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া উভয়ের বিরুদ্ধে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুদক।
গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই মামলায় ওই বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ কুমার দাশ। দুদকের মামলার পর থেকে পলাতক চুমকি কারণ।