সিপিডির নির্বাহী পরিচালক
অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে এমপি পদও ছাড়তে হবে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ০১:৫৫ এএম, ২১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫
টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করতে দেরি করে ফেলেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে এমপির পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে হবে। এমনকি লেবার পার্টির সদস্য পদও হারাতে পারেন।
গতকাল শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন।
‘প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অভিবাসন বিশ্লেষক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক আরেকটি দেশের রাজনৈতিক দলের সদস্য। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ননা, এমনকি দ্বৈত নাগরিকও নন।
তিনি কিভাবে প্রধানমন্ত্রী খালার সঙ্গে রাশিয়া গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন? পারিপার্শ্বিক তথ্যের ভিত্তিতে টিউলিপের পদত্যাগ অবধারিত ছিল। আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল।’
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বিদেশি হাইকমিশন ও ব্যাংকগুলোকে প্রবাসীদের সেবায় আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। বিমানবন্দরের প্রবাসী লাউঞ্জে যে বার্গার দেওয়া হচ্ছে, তা তাঁরা খেতে অভ্যস্ত কি না সেটা বুঝতে হবে।
প্রবাসীরা সোনার হরিণ। তাঁদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা প্রয়োজন। তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’
ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের পাঠানো কর্মীদের মধ্যে বেশির ভাগই অদক্ষ। তাই বেশি করে দক্ষ কর্মী বিদেশে প্রেরণের ওপর গুরুত্ব দিলে রেমিট্যান্স আরো বাড়বে।
বিগত সরকারের আমলে যে অর্থ পাচার হয়েছে, তা তাদের বৈধ উপার্জিত অর্থ ছিল না।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. বেলাল হোসেন, ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব ও বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তামান্না বেগম। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের চারদিকে বর্তমানে যে চাকচিক্য দেখা যাচ্ছে, তা অভিবাসীদের রেমিট্যান্সের কারণেই সম্ভব হচ্ছে। তাদের প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে বিশেষভাবে কাজ করছে। এই রেমিট্যান্সযোদ্ধারাই দেশের সত্যিকারের নায়ক।
তিনি বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের প্রবল দেশাত্মবোধ রয়েছে। তাঁরা বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করেছিলেন। নানা শর্তের বেড়াজালে আইএমএফ চার বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করেছে। অথচ প্রবাসীরা কোনো শর্ত ছাড়াই গত বছর ২৭ বিলিয়ন ডলার দেশে প্রেরণ করেছেন। দেশের কর্মক্ষম ২৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয় অভিবাসনের মাধ্যমে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান করা না গেলে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আরো ১০ শতাংশ বেড়ে যেত।’