বাংলাদেশে ‘সাম্প্রদায়িক’ হামলার ঘটনা কতটা সত্য
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:২০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যার বিষয়ে নানা অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আলোচনা–সমালোচনার মধ্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গণ্যমাধ্যমের কাছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ৫২ জেলায় অন্তত ২০৫টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সহিংসতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৯ জন নিহত হয়। এ দিকে হিন্দুদের একটি সংগঠন জাতীয় হিন্দু মহাজোট এক পরিসংখ্যানে দাবি করেছে, শেখ হাসিনার পতনের পরে ৪৮ জেলায় ২৭৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা তদন্তে ‘সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনও।
তবে ঐক্য পরিষদের ৯ নিহতের বিষয় অনুসন্ধান করে এ বিষয়ে কোনো সত্যত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, নয়জনের মধ্যে সাত জনই রাজনৈতিক সহিংসতা, গণ-সহিংসতা ও বৈষয়িক অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক হামলার বেশির ভাগ ভুয়া বলে প্রমাণ মিলেছে।
হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, হত্যার শিকার ব্যক্তির স্বজন, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন দাপ্তরিক নথি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট, অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার ও বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের অসংখ্য প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য, ঐক্য পরিষদ সাম্প্রদায়িক হামলার দাবির প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয় মূলত ৪ আগস্ট থেকে যা কিনা হাসিনা সরকারের পতনকালে সময়। আর উপস্থাপন করা হয় সেপ্টেম্বরে। অর্থাৎ এখানে সরকার পতনের সময়কালকে মূখ্য হিসেবে ধরেছে সংগঠনটি।
নয় নিহতের বিবরণ
নিহত নয়জন হলেন, রিপন চন্দ্র শীল, হারাধন রায়, টিঙ্কু রঞ্জন সাহা, সুশান্ত সরকার, স্বপন বিশ্বাস, প্রদীপ কুমার, সন্তোষ চৌধুরী, অজিত সরকার, মৃণাল কান্তি।
এদের মধ্যে রিপন চন্দ্র শীল ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছাত্রসংগঠনের কর্মী। তিনি হবিগঞ্জে হাসিনা-বিরোধী বিক্ষোভে ৪ আগস্ট অংশ নেন। তিনি সেখানে আওয়ামী লীগ কর্মীদের গুলিতে নিহত হন। প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকে এমনটাই দাবি করে তার পরিবার। তার মৃত্যুতে হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা জি কে গাউছ শোক প্রকাশ করেন। আর রাজনৈতিক সংহিসতার এ মৃত্যুকে ঐক্য পরিষদ কেন সাম্প্রদায়িক হত্যায় অন্তর্ভূক্ত করল সেটিরও কোনো ব্যাখ্যা নেই কারো কাছে।
একই ঘটনা হারাধনের মৃত্যুতেও। যেটি সাম্প্রদায়িক হত্যা নয় বরং রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে তার। হারাধন ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের একজন কাউন্সিলর। তিনিও নিহত হন ৪ আগস্ট। আওয়ামী এই কাউন্সিলরের নিহতের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলা হয়েছে, হারাধন রায় ও ফাত্তা উরফে সবুজ নামে একজন ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে ওইদিন প্রায় ৪০০-৫০০ জন বিক্ষুদ্ধ জনতার ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলছিল। একপর্যায়ে বিক্ষব্ধ জনাতা সবুজকে বেতপট্টি চারমাথা মোড়ে পেয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সরকার পতনের সেসময়ের আন্দোলনে ওই দিন রংপুরে একই ঘটনায় অন্তত চারজন ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। হারাধন বাদে বাকি তিনজন ছিলেন মুসলমান।
সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিকও নিহত হন ৪ আগস্ট। তার নামটি রয়েছে ঐক্য পরিষদের পাঁচ নম্বর তালিকায়। ছাত্র জনতার আন্দোলনে ওই দিন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে একই ঘটনায় ছয়জন মানুষ নিহত হন। এদের একজন প্রদীপ; বাকি পাঁচজনই মুসলিম ধর্মের।
৫ আগস্ট বাগেরহাটে নিহত হন সত্তরোর্ধ্ব সাবেক স্কুল শিক্ষক মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জি। তার বাড়িতে হামলা করে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একাধিক পত্রিকার প্রতিবেদনে তার স্ত্রী শেফালি চ্যাটার্জি ও মেয়ে ঝুমা রানি চ্যাটার্জি তাদের প্রতিবেশী হুমায়ুন শেখ ও নুরুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে দায়ী করেছেন। পরিবারটি দাবি করেন , চ্যাটার্জি পরিবারের সঙ্গে তাদের ওই প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিনের জমি-সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। এ সংক্রান্ত একটি মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। অর্থাৎ এ ঘটনাও ব্যক্তিগত কোন্দল যেখানে সাম্প্রদায়িক হামলার লেশমাত্র নেই। ইতিমধ্য এ হত্যার ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ওই হামলার ঘটনায় জনি শেখ নামে এক আসামিকে আটক করেছে। অন্য দুজন অভিযুক্ত হুমায়ুন শেখ ও নুরুল ইসলাম এখনও পলাতক।
ময়মনসিংহের ফুলপুরে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার অনুসারীদের হাতে ৫ আগস্ট গুম হন অজিত সরকার। অজিত সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন স্বাক্ষী ছিলেন। যে রাজনৈতিক নেতার অনুসারীরা আক্রমণ করেছিলেন, তার বাবার বিরুদ্ধে অজিত সরকার ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ বা মাননবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সবচেয়ে পরিচিত নেতা রানাদাশ গুপ্ত নিজেও এ ট্রাইব্যুনালের একজন কৌঁসুলি ছিলেন। এই হত্যায় অজিত সরকারের স্ত্রী পূর্ণিমা রানি বলেন, হাসিনার পতনের খবর পাওয়ার পরই একদল লোক ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে আক্রমণ শুরু করে। একপর্যায়ে অজিত সরকারকে বিক্ষুব্ধ জনতা ধরে নিয়ে যায় তবে তার সাথে কী হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি কিন্তু অজিতের পরিবার ও স্থানীয়রা ধারণা করছে তিনি আর বেঁচে নেই।
ঐক্য পরিষদের নিহতের তালিকায় শুরুতেই রয়েছে টিঙ্কু রঞ্জন সাহার নাম। নারায়ণগঞ্জের এই হোসিয়ারি ব্যবসায়ীর মৃত্যু আদৌ খুনই নয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন স্থানীয় দুর্বৃত্ত তার কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে হুমকি দিয়েছেন। ৭ আগস্ট ওই হুমকি দেয়ার পর তার স্ট্রোক হয়। এরপর চার দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। চাঁদা চেয়ে হুমকির কারণে তার স্ট্রোক হয়েছিল কিনা এটি কোনভাবেই পর্যালোচনা করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া শুধু টিঙ্কু রঞ্জন সাহা নন; নারায়ণগঞ্জের ওই এলাকায় অন্যান্য হোসিয়ারি ব্যবসায়ীর কাছেও চাঁদা চাওয়া হয়েছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদীতে ১৮ আগস্ট সুশান্ত সরকারের লাশ পাওয়া যায়। ঐ হত্যাকাণ্ডটি ঐক্য পরিষদ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে। অথচ ওই প্রতিবেদনে এ ঘটনার নেপথ্যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক যোগসূত্র থাকার উল্লেখ নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই রাতে সুশান্ত সরকারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আশিক নামে এক ব্যক্তি। পরের দিন মেঘনা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। হত্যার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এই দুই ব্যক্তির মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের কথা উল্লেখ ছিল। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে।
খুলনার পাইকগাছায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৮ আগস্ট মারা যান স্বপন বিশ্বাস। তিনি স্থানীয় দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাবেক সদস্য। তার শরীরে হাতুড়ির আঘাতের মতো ক্ষতস্থান দেখতে পান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওই সময়কার উত্তাল পরিস্থিতিতে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তও করেনি; লাশের ময়নাতদন্তও হয়নি। পর দিনই লাশের সৎকার করে ফেলে পরিবার। দেলুটি একটি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। স্থানীয়রা মনে করছে, চিংড়ির ঘের নিয়ে দ্বন্দ্ব; অথবা স্থানীয় একটি বাজারের দোকানের জমি নিয়ে বিবাদের কারণে এ খুন ঘটে থাকতে পারে।
সন্তোষ চৌধুরী পেশায় ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি হবিগঞ্জের বনিয়াচং পুলিশ স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের ওপর সাধারণ জনগণের ক্ষোভ ছিল চরম। পুলিশের নৃশংসতায় অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হয় যা পরবর্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। হাসিনা সরকার পতনের কয়েক ঘণ্টা আগে বনিয়াচং থানা ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের অভিযোগ ছিল থানা থেকে আগে গুলি ছোড়া হয় যে কারণে শিশুসহ তিনজনের প্রাণ যায়। আর তারপর আক্রমণ চালানো হয় থানায়। আর এতে করে নিহত হন সন্তোষ চৌধুরী।
কী বলছে ঐক্য সংগঠন
এসব খুন কতটা সাম্প্রদায়িক তা বিবরণসহ তুলে ধরার পরও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত নিজের বক্তব্যে অটল থেকে বলেন, যেভাবেই বলা হোক না কেন এসব খুন সংখ্যালঘু হওয়ায় ঘটেছে। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হলে কথা বলেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ। তিনি বলেন, দেশে আমরা সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত, আমাদের বাড়িঘর পোড়ানো হচ্ছে, ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতি করা হচ্ছে, মা- বোনকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। তবে প্রতিবেদক যখন বলেন যে এসব ঘটনা মুসলমানদের সঙ্গেও ঘটছে, তখন তিনি বলেন, তাদেরটা তাদের বিষয় মুসলমানদের বিষয় আমরা জানি না ।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম
ভারত সরকার বাংলাদেশ পরিস্থিতি নজরে রাখতে একটি কমিটিও গঠন করেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের নবগ্রহ মন্দিরে হামলার ঘটনা দাবি করে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় ডেইলি লেটেস্ট আপডেটস নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। যেখানে #AllEyesOnBangladeshiHindus এবং #SaveBangladeshiHindus হ্যাশট্যাগ ছিল। এমন হ্যাশট্যাগ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার পর শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে সেই ভিডিওটি ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক টিভির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও প্রচার করা হয়। অনলাইন যাচাই ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ডিসমিস ল্যাব বলছে, নবগ্রহ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ বা আগুন দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই ভিডিওকে অপপ্রচার বলে দাবি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলা হয়েছে মন্দিরের কাছাকাছি অবস্থিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ডিসমিস ল্যাব ভুয়া ও অপতথ্য ছড়ানো নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে ভারত থেকে পরিচালিত এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এসব পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে। সেগুলো উপস্থান করা হচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যমেও।
সম্প্রতি হিন্দুদের দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে, এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এক্সে। ভিডিওটি ৭ আগস্ট পোস্ট হয়, যেখানে একই ক্যাপশনে একাধিক হ্যাশট্যাগ দেখা যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম সুদর্শন নিউজও ভিডিওটি প্রচার করে এবং সেটিকে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বলে প্রচার করা হয়। এদিকে বাংলাদেশি ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয় ভারত থেকে পরিচালিত একটি এক্স অ্যাকাউন্টে। তবে ডিসমিস ল্যাব যাচাই করে দেখতে পেয়েছে, বাড়িটি লিটন দাসের নয়। সেটি নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বাড়ি। লিটন দাস নিজেও ফেসবুকে এ–সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন।
বাংলাদেশে ধর্মীয় ভুয়া তথ্য নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ আল-জামানের করা এক গবেষণার সূত্র নিয়ে ডিসমিস ল্যাব বলেছে, ব্যবহারকারীদের ৬৯ শতাংশের বেশি ভুল তথ্য বিশ্বাস করেন। গত চার দশকের রাজনীতিতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর কিংবা ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ সামনে এসেছে।
গত ৩১ অক্টোবর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (পূর্বের টুইটার) একটি টুইট করেছেন। যদিও তার বক্তব্যের সাথে একমত নন বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশের অনেক বিশ্লেষক। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই টুইটের মূল লক্ষ্য মার্কিন নির্বাচন।