avertisements 2

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৩৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর নজিরবিহীন হামলা চালায় পুলিশ। গত ১৯ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত তিনদিনে ওই এলাকায় আন্দোলনকারীদের দমাতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৯৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম চায়না রাইফেল থেকে। এতে প্রাণহানি ঘটে শতাধিক। অত্যাধুনিক এ মারণাস্ত্র দিয়ে প্রতি মিনিটে নির্ভুলভাবে ৩০-৪০ রাউন্ড গুলি চালানো যায়। অত্যাধুনিক এ অস্ত্র ব্যবহার হয় মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে।

পুলিশ বাহিনীর হাতে এ ধরনের মারণাস্ত্র তুলে দেয়া শুরু হয় ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের আধুনিকায়নের নামে বাহিনীতে যুক্ত করা হয় ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম চায়না রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি, বিডি-৮ অ্যাসল্ট রাইফেল, টরাস ৯ এমএমের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার্য অস্ত্র।

পুলিশের হাতে এ ধরনের অস্ত্র তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) ছিলেন আখতার হোসেন ভূঁইয়া। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় পুলিশের পক্ষে অংশ নেন তৎকালীন এআইজি মো. হারুন অর রশিদ। সভায় বাহিনীতে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এদেশে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতল অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পুলিশের বিভিন্ন মডেল ও ক্যালিবারের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে।’

তার ওই প্রস্তাবে অনুমোদন দেন আখতার হোসেন ভূঁইয়া। একই সঙ্গে স্বাভাবিক অন্যান্য প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে এসব অস্ত্র কেনাকাটা থেকে শুরু করে বণ্টনের কাজটিতেও তত্ত্বাবধান করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের মতো বাহিনীর সদস্যদের হাতে এ ধরনের মারণাস্ত্র তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট কারো মতামত নেয়া হয়নি। এমনকি ক্রয় প্রক্রিয়াও বাস্তবায়ন হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। সরকারি অন্যান্য কেনাকাটায় যে ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, সেটিও এখানে উপেক্ষিত থেকে যায়। ২০১৫ সালে প্রথম দফায় ইতালি থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গুলি আমদানি করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয় আরো অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ও গুলি। গোটা বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেন আখতার হোসেন ভূঁইয়া। ২০১৯ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পদোন্নতি পান। পরে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি পরের দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পান। পুলিশের হাতে এ ধরনের মারণাস্ত্র তুলে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের ভাষ্যমতে, শুরুতে স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, পিবিআই, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সোয়াট ও গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন প্রয়োজনকে সামনে রেখে আখতার হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পুলিশকে এসব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করা হয়। যদিও এক পর্যায়ে এর প্রয়োগ শুরু হয় বিরোধী মত দমনে ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পরবর্তী নির্বাচনগুলোর অব্যবহিত আগে-পরে পুলিশ সদর দপ্তরে এসব অস্ত্র সংগ্রহের তোড়জোড় দেখা গেছে বেশি।

অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, পুলিশ ও র‌্যাব চীনা টাইপ-৫৬ সেমি অটোমেটিক রাইফেলে ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম বুলেট ব্যবহার করে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম স্নাইপার রাইফেল সংগ্রহের জন্য সর্বশেষ দরপত্র আহ্বান করা হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগে গত মার্চে। গত ২৪ মার্চ ৫০টি এ ধরনের অস্ত্র সংগ্রহে উৎপাদন ও সরবরাহকারীদের কাছে দরপত্র চাওয়া হয়। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় ৩০টি ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম স্নাইপার রাইফেল। মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের আন্দোলন দমন করার জন্যই এসব অস্ত্র সংগ্রহ করা হয় বলে জানা গেছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আরেক দরপত্রের মাধ্যমে পুলিশের কাছে থাকা ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম স্নাইপার রাইফেলের জন্য কাভার কেনা হয়। এছাড়া ওই মাসের আরেকটি দরপত্রে ১৫ হাজার সেমি অটোমেটিক ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম রাইফেলের কথা উল্লেখ করা হয়। পুলিশ ছাড়া অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতেও এ ধরনের টাইপ-৫৬ সেমি অটোমেটিক রাইফেল রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যুদ্ধকালে ব্যবহার্য এসব মারণাস্ত্র শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের ওপর ব্যাপক মাত্রায় চালিয়েছে পুলিশ। আন্দোলন ঘিরে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, কদমতলী, রামপুরা, ধানমন্ডি ও চট্টগ্রাম চাঁদগাঁও এলাকায় ছাত্র আন্দোলন দ্রুত সময়ে দমাতে স্পেশাল পারপাস অটোমেটিক শটগান (স্পার্স), ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম চায়না রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি, বিডি-৮ অ্যাসল্ট রাইফেল, টরাস ৯ এমএম ও ৯ পয়েন্ট ১৯ এমএম সিজে পিস্তল থেকে ১৭ হাজার ২৯ রাউন্ড বুলেট ছুড়েছে। এমনকি ১৬টি শক্তিশালী গ্রেনেডও ছোড়া হয়।

প্রাণঘাতী এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ১ হাজার ৫৬৩ রাউন্ড, মোহাম্মদপুরে ২৯৮ ও সিসা বুলেট ২ হাজার ৯৮৪ রাউন্ড, উত্তরায় ৩৯০, ধানমন্ডিতে ৩৩৭ ও শাহবাগে ৪৩ রাউন্ড বুলেট ছোড়া হয়। নিহতের ঘটনাগুলোয় পুলিশের বাদী হয়ে করা বেশির ভাগ মামলায় বিক্ষোভকালে সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে এবং পুলিশ জানমাল রক্ষায় গুলি চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে যেসব স্পটে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয় তার মধ্যে যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর ও উত্তরা অন্যতম।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এসব মারণাস্ত্রের গুলিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষের। আহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। পুলিশের তথ্যেও দেখা গেছে, গত ১৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত চারদিনে ঢাকার অন্তত চারটি স্পটে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি বিপুল পরিমাণ প্রাণঘাতী মারণাস্ত্র ব্যবহার করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে গুলি করা হয়।

নিরস্ত্র মানুষের ওপর এভাবে যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োগকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দেখছেন মানবাধিকার কর্মীরা। মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জনসমাবেশকে ভেঙে দেয়ার জন্য এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা আমি খুঁজে পাই না। শুধু জনসমাবেশকে ভেঙে দেয়ার জন্য যেসব যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, সেটা জঘন্য কাজ হয়েছে। ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম রাইফেলের গুলিও ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ব্যবহার হয়েছে। যখন এসব যুদ্ধক্ষেত্রের অস্ত্র ও গুলি ব্যবহার হবে, তখন সেটিকে নিরস্ত্র মানুষের প্রতি স্বৈরশাসকের নিষ্ঠুর অমানবিক ব্যবহার হিসেবে দেখতে হবে। এ ধরনের অস্ত্র কয়েক বছর ধরেই ব্যবহার হয়েছে। তবে গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব অস্ত্রের অতিমাত্রায় ব্যবহার হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধাস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে বহু প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে, যেটি মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারাও বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের ওপর যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োগ করেছে পুরোপুরি নিয়মবহির্ভূতভাবে। পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নিরস্ত্র মানুষের ওপর কোনো অবস্থাতেই যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবহারের একটি নিয়ম রয়েছে। যেমন প্রথমে মাইকিং করা, তারপর মৃদু লাঠিচার্জ করা। এতেও কাজ না হলে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সর্বোচ্চ পায়ে গুলি করা। কিন্তু আমাদের এখানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যেটা হয়েছে যেকোনো প্রকার সতর্কতা না দিয়েই নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ফলে প্রচুর প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করা একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, গত জুলাইয়ের শেষদিকে পুলিশের তৎকালীন ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন তাদের চাইনিজ রাইফেল থেকে নির্ভুল নিশানা করে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশনা দেন। গত ৪ আগস্টও তিনি একই নির্দেশনা দেন। সবশেষ গত ৫ আগস্ট কন্ট্রোল রুম থেকে তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) প্রলয় কুমার জোয়াদ্দারও বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশনা দেন। এমনকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরও প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার এসব মারণাস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা ও কিছু ধাপ রয়েছে, যা মেনে অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়। বল প্রয়োগের ক্ষেত্রেও অনুসরণীয় নির্দেশনা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বল প্রয়োগের স্বীকৃত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলেই প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।’

অত্যাধুনিক এসব মারণাস্ত্র প্রচলনের আগে প্রায় ৮০ বছর পুলিশের হাতে অস্ত্র হিসেবে ছিল থ্রি নট থ্রি রাইফেল। আন্দোলন চলাকালে অস্ত্রটির সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা ছিল মূলত এর শব্দে। সে সময় পুলিশের আত্মরক্ষার সবচেয়ে বড় কৌশলই ছিল থ্রি নট থ্রির ফাঁকা গুলি ছুড়ে উচ্চশব্দ তৈরি করা।

এ বিষয়ে অবসরে যাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘এক সময় পুলিশের জন্য সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র ছিল লি এনফিল্ড বা থ্রি নট থ্রি রাইফেল। রাজশাহীর বাগমারায় এক ঘটনায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘেরাও করে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে। তখন এ বন্দুকের গুলি ছোড়া হয়েছিল শূন্যে। পরপর চারটি ফায়ারিংয়ের আওয়াজেই ক্ষিপ্ত জনতা ছত্রভঙ্গ আর পুলিশ ঘেরাওমুক্ত। আরেকটি ঘটনায় থ্রি নট থ্রি আমাদের জীবন রক্ষা করেছিল। একবার খাস জমি নিয়ে আন্দোলনে উত্তাল নোয়াখালীর চরাঞ্চলে গেলে জনতা আমাদের ঘিরে ফেলে। রেললাইনের পাথর তুলে আমাদের দিকে ছুড়তে থাকে। এক কনস্টেবল পাথরের আঘাতে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। সেই সংকটকালে পরিত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় থ্রি নট থ্রি। তখন ক্ষিপ্ত মানুষকে ভয় পাওয়াতে থ্রি নট থ্রির আওয়াজই যথেষ্ট ছিল।’
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2