avertisements 2

ব্যাংক লেনদেনে আস্থা ছিল না আমুর, ঘুমাতেন টাকার বান্ডিলের জাজিমে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ব্যাংক লেনদেনের ওপর তেমন আস্থা রাখতেন না। তিনি নতুন টাকার বান্ডিল দিয়ে জাজিম বানিয়ে তার ওপর ঘুমাতেন। স্বর্ণের নৌকা এবং নতুন টাকার বান্ডিল ছিল তার বিশেষ পছন্দ। কোনো তদবিরের জন্য গেলে তাকে নতুন টাকার বান্ডিল দিতে হতো।

তার অবৈধ আয়ের বেশিরভাগই তার ভায়রা ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ফখরুল মজিদ কিরন এবং পালিত কন্যা সুমাইয়ার কাছে গচ্ছিত ছিল। সুমাইয়া বর্তমানে স্বামীসহ দুবাইতে বসবাস করেন।

গত ৫ আগস্ট রাতে ঝালকাঠির তার বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন নেভানোর সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে আংশিক পুড়ে যাওয়া ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, লাগেজভর্তি ডলার ও ইউরো উদ্ধার করে।
সবমিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় আমুর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ উঠে আসে আলোচনায়।


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে, আমুর নামে প্রায় ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তার ঝালকাঠির রোনালস রোডে বাড়ি, ঢাকার ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাট, সাভারে জমি ও মিরপুরে একটি বাণিজ্যিক প্লটসহ আরো বিভিন্ন স্থানে সম্পদ রয়েছে।
এ ছাড়া আমু তার নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

অবৈধ সম্পদ রক্ষায় আমু তার ভায়রা ফখরুল মজিদ কিরন এবং পালিত কন্যা সুমাইয়ার ওপর নির্ভর করতেন। সুমাইয়া ও তার স্বামী বর্তমানে দুবাইতে বসবাস করছেন এবং সেখানে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে আমুর নামে জব্দ করা ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি তার পালিত কন্যা এবং মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানেরও ব্যাংক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তবে ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে আমির হোসেন আমু প্রকাশ্যে আসেননি।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2