আল্লামা শফীর ‘নিয়োগ পাওয়া’ ২ শিক্ষককে রাতের আঁধারে বহিষ্কার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫২ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ১১:০০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সদ্যপ্রয়াত হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ আহমদ শফী কর্তৃক নিয়োগকৃত শিক্ষকদের মধ্যে দুজনকে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একইসাথে পূর্বে বহিষ্কৃত ৩ শিক্ষক ও ১ কর্মকর্তাকে পুননিয়োগও দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। গত ঈদুল আজহার পরপরই হঠাৎ করে ওই তিন শিক্ষককে বহিষ্কার করেছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তারা হলেন মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা আনওয়ার শাহ আজহারী ও মাওলানা হাসান।
গত সপ্তাহে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হওয়া ছাত্র আন্দোলেনে ছাত্রদের দাবি মানার অংশ হিসেবে তাদের সবাইকে পুনর্নিয়োগ দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
তাদের সঙ্গে মাওলানা মনসুরুল হক নামক অপর এক কর্মকর্তাকেও পুনর্নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যিনি পূর্বে হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
একই সাথে ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী শাহ আহমদ শফীর সময়ে ‘বিতর্কিত নিয়োগের’ ২ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন মাওলানা মোহাম্মদ উসমান ও মাওলানা তকি উদ্দিন আজিজ।
এই নিয়ে এখন পর্যন্ত নতুন করে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার হলেন ৪ শিক্ষক। যারা সকলেই শাহ আহমদ শফীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
বিতর্কিত নিয়োগের শিক্ষকদের বহিষ্কারে ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী এই ২ শিক্ষককে বহিষ্কারের কথা জানানো হলেও এই ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও তুলছেন কেউকেউ।
মাদ্রাসা ছুটির পর থেকে অর্থাৎ গত ছয় মাসে যাদের বিতর্কিত নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের ২ জনকে মঙ্গলবার অব্যাহতি দেয়া হলেও অন্যদের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যাদের সবাই বর্তমান সিনিয়র শিক্ষকদের ছেলে।
হাটহাজারী মাদ্রাসার একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিস্তারিত জানতে মাদ্রাসার সদ্য নিযুক্ত শিক্ষা সচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, কওমী মাদরাসা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় টানা দুইদিনের ছাত্র আন্দোলনে মাদ্রাসার চিত্র অনেক কিছুই পাল্টে গেছে।
মজলিসে শুরায় যোগ হয়েছে আরো ৬ জন সদস্য যারা সিনিয়র মুহাদ্দিস।
পরিবর্তন এসেছে কিতাব বণ্টনেও। সব মিলিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে দেশের বৃহত্তর কওমী আঁতুড়ঘর হাটহাজারী মাদরাসা।
তবে আর কাউকে পুনর্নিয়োগ দেয়া হবে কিনা বা বিগত কত বছরের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকদের পুনর্নিয়োগ দেয়া দেয়ার পরিকল্পনা বা সুযোগ আছে সেটা কেউ পরিষ্কার করছে না।