avertisements 2

নওমুসলিম ফারুক খুনের বিচার চান ডাচ নেতা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার মৃত তয়ারাম ত্রিপুরার ছেলে বেরন চন্দ্র ত্রিপুরা। ৬ বছর আগে ২০১৪ সালে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। মুসলিম হয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন ওমর ফারুক। এরপর একটি মুসলিম এনজিওর মাধ্যমে ধর্মীয় বিধিবিধান শেখেন।

নিজের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ইসলাম গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তার দাওয়াতে এলাকার আরও ১০-১২ জন মানুষ মুসলিম হন। এরপর নিজের জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি।

এলাকায় অন্য কোনো শিক্ষিত মানুষ না থাকায় নওমুসলিম ওমর ফারুক নিজেই এই মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে নওমুসলিম ওমর ফারুককে স্থানীয় কিছু পাহাড়ি সন্ত্রাসী হয়রানি করতে থাকে। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদে নামাজ আদায়ের পর ঘরে ফেরার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আসামীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডাচ রাজনীতিবিদ জোরাম ভান ক্ল্যাভেরে।

তিনি তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী খ্রিস্টান উপজাতিদের হাতে এই ধর্মান্তরিত বাংলাদেশী ভাই শহীদ হয়েছেন। তিনি কয়েক বছর আগে পূর্নচন্দ্র ত্রিপুরা থেকে ওমর ফারুকে পরিণত হন এবং তার এলাকায় একটি মসজিদ স্থাপন করেন। তার দা ‘ ওয়াহ প্রচেষ্টায় প্রায় ৩২ জন মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আসামীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য।’

এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার বলেন, সন্ত্রাসীরা মসজিদের সামনে ইমামকে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে সতর্ক অবস্থানে আছে। তবে এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2