বাইডেনের শপথে অংশ নেয়া ২০০ নিরাপত্তারক্ষীর করোনা পজিটিভ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৫৫ পিএম, ২৩ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা অন্তত ২০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাইডেনের শপথ গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন নিরাপত্তা জারি ছিল। ক্যাপিটল ভবনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার ঘটনায় এক নিরাপত্তা সদস্যসহ ৫ জন নিহত হয়। সে কারণেই বাইডেনের শপথে যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ন্যাশনাল গার্ডে করোনায় আক্রান্ত সদস্যের সংখ্যা বাড়তে পারে। গত কয়েকদিনে রাজধানী ওয়াশিংটনে ২৫ হাজারের বেশি নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আক্রান্ত ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। বৃহস্পতিবার দেশটিতে দ্বিতীয় দিনের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক চার হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৪২। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ১৭৭ জন।
দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৭১৯ জন। বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৯৭ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৬। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২৭ হাজার ৩২২ জন।
ন্যাশনাল গার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের নির্দেশনা অনুসরণ করছে। এর আওতায় প্রতিদিন তারা যখন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে এবং বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে তখন তাদের দেহের তাপমাত্রা মাপা হয় এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
আগামী ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই প্রায় ১৫ হাজার নিরাপত্তা সদস্য ওয়াশিংটন ছাড়বেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় ৭০ হাজার সদস্য ওয়াশিংটনেই অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে আরও আগামী মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার সেনা সেখানে অবস্থান করবেন। তবে সময় এবং সেনা সদস্যের সংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।