গত পাঁচ মাসে ৩১ বার করোনা পজেটিভ এই মহিলার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৪ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
পাঁচ মাস আগে মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজস্থানের ভরতপুর জেলার এক মহিলা৷ এর পর থেকে ৩১ বার করোনা পরীক্ষা হয়েছে তাঁর৷ কিন্তু প্রতিবারই রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ ফলে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন আরবিএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷
ওই মহিলা ‘আপনা ঘর আশ্রম’-এর আবাসিক৷ আশ্রম কর্তৃপক্ষ এখন ওই মহিলাকে আরবিএম হাসপাতাল থেকে জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে৷ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ড. বিএম ভরদ্বাজ বলেন, বাজারে গ্রাম থেকে সারদা নামে এই মহিলাকে এই আশ্রমে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ তার পর থেকে তিনি এখানকার বাসিন্দা৷
২৮ অগাস্ট প্রথম সারদার শরীরে কোভিডের উপস্থিতি মেলে৷ এর পরেই তাঁকে আরবিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু সারদার মানসিক ও শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তাঁর সঙ্গে একজনকে থাকার অনুমতি দেয়৷ পরে তাঁকে আশ্রমের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়৷ ভরদ্বাজ জানান, এখনও পর্যন্ত ৩১ বার সারদার টেস্ট করা হয়েছে৷ কিন্তু প্রতিবারই রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷
এরই মধ্যে অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি সারদার আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও করা হয়৷ তাঁর রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সারদা সুস্থ আছেন৷ এবং তাঁর মধ্যে কোনও দুর্বলতা নেই৷ যা দেখে বিস্মিত চিকিৎসকরাই৷ সারদাকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে রাখা হয়েছে যাতে কেউ তাঁর সংস্পর্শে আসতে না পারে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরই আইসোলেশন থেকে বেরতে পারবেন তিনি৷
বর্তমানে ভরতপুর জেলার হাসপাতালে একটাও করোনা রোগী নেই৷ তাই সারদার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন৷ সাধারণত করোনা আক্রান্ত রোগীদের ১০ থেকে ১৪ দিন আইসোলেশনে রাখা হয়৷ সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে বাড়ি পঠানো হয়৷ কিন্তু তাঁদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সারদার বিষয়টি৷ কোনও উপায় না পেয়ে সারদাকে জয়পুরের এসএইচএস হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান।