মার্কিন বাহিনীর ৪৬তম কমান্ডার ইন চিফ বাইডেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১৪ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মার্কিন বাহিনীর ৪৬তম কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের এক বার্তায় তার নাম ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে সংবিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তার ওপর এ দায়িত্ব ন্যস্ত হবে। বার্তায় মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ইউএস ক্যাপিটলে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবকে পার্লামেন্ট ও দেশের সংবিধানের ওপর প্রত্যক্ষ আঘাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
জয়েন্ট চিফস চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি এবং অন্যান্য জয়েন্ট চিফরা এই বার্তায় স্বাক্ষর করেন। তারা বলেন, ক্যাপিটল ভবনে সেদিন যা ঘটেছে তা আইনের শাসনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সামরিক বাহিনীর এই বার্তায় বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমাদের জাতির মূল্যবোধ এবং আদর্শকে ধারণ করতে হবে। আমরা আমাদের সংবিধানকে সমর্থন ও এর সুরক্ষা নিশ্চিত করি।
সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করার যে কোনও তৎপরতা যে আমাদের ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও অঙ্গীকারের পরিপন্থি তাই-ই শুধু নয়, এটি আইনেরও পরিপন্থি। বাক স্বাধীনতা ও সমাবেশের অধিকার কাউকে সহিংসতা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিদ্রোহের অধিকার দেয় না। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাকে অভিশংসনের প্রচেষ্টাকে ‘রাজনীতির ইতিহাসে, ভিন্ন মতাবলম্বীদের হয়রানি করার সবচেয়ে বাজে প্রচেষ্টা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প। ২০১৯ সালের অভিশংসন প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি অব্যাহতভাবেই চলে আসছে।’
ট্রাম্প বলেন, বাইডেন যখন দায়িত্ব নিচ্ছেন তখন তিনি আর কোনও সহিংসতা চান না। তবে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের অভিশংসন প্রস্তাব তাকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করেছে। প্রতিনিধি পরিষদের রুলস কমিটির চেয়ারপার্সন জিম ম্যাকগভের্ন বলেছেন, প্রতিনিধি পরিষদের ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটি পাস হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। অভিশংসন প্রস্তাবে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার মধ্য দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
আইনপ্রণেতাদের যুক্তি, ট্রাম্প যেভাবে নির্বাচনকে খর্ব করেছেন এবং ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলার দিন সমর্থকদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন তার মধ্য দিয়ে ‘তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য ডেমোক্র্যাট শিবিরের চাপ প্রত্যাখ্যানেরও ঘোষণা দেন তিনি। আনাদোলু এজেন্সি, ভিওএ।