avertisements 2

করোনায় অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যুর হার আরো বাড়বে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩৪ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

ওমিক্রন তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এতে করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি নিজ এলাকার হাসপাতালগুলোতে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশ।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পল কেলি বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন’কে বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা (করোনা রোগীদের) মৃত্যু দেখছি এবং আমরা এটি দেখতেই থাকব। মৃতদের বেশিরভাগই বয়স্ক মানুষ এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আবার জটিল বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এমন।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় কঠোর বিধিনিষেধ ও বাধ্যতামূলক টিকাদানের মাধ্যমে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে প্রভাবে ভেঙে পড়ছে সেই নিয়ন্ত্রণ।

প্রতিদিনই সংক্রমণ-মৃত্যু বাড়ছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার (১৮ জানুযারি) করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুও দেখেছে দেশটি। এর একদিনের মাথায় করোনায় প্রাণহানি নিয়ে আশঙ্কার কথা জানালেন অস্ট্রেলীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের এই প্রধান।

রয়টার্স বলছে, রেকর্ডসংখ্যক সংক্রমণ ও প্রাণহানির মধ্যে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে ‘কোড ব্রাউন’ স্ট্যাটাস জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সাধারণত বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যাপকসংখ্যক গণ-হতাহতের ঘটনার কারণে সেখানে এই ধরনের স্ট্যাটাস জারি করা হতো।

এছাড়া, সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে সরকারের কাছে ভিক্টোরিয়া প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা আবেদন জানিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

এদিকে, সিডনির বড় হাসপাতালগুলোতে কর্মী সংকটের বিরুদ্ধে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ভিক্টোরিয়ার পার্শ্ববর্তী প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডব্লিউ) স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শায়ে ক্যানডিশ বলছেন, নার্স ও মিডওয়াইফরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এনএসডব্লিউ সরকার যথেষ্ট সহযোগিতা না করায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

অবশ্য স্বাস্থ্যকর্মী সংকটের কথা স্বীকার করে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পল কেলি বলছেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তির ক্রমবর্ধমান সংখ্যা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে হাসপাতালগুলো।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২ হাজার ৮২৬ জন মারা গেছেন।

বিষয়: করোনা
avertisements 2