avertisements 2

ভারত-চীন নীতিতে শেখ হাসিনা মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৩৬ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:১৫ এএম, ৩০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

উন্নয়ন ও কূটনৈতিক প্রশ্নে শেখ হাসিনার সরকারের ‘চীনমুখী’ যে অভিযাত্রা, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. ইব্রাহিম খালেদ।

ভারত-চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইব্রাহিম খালিদ।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে। নানা সম্পর্কের রূপায়ন ঘটে গেছে। ভারত ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের বন্ধু। সামাজিক, সাংস্কৃতিক দিক থেকেও ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু সময় গড়িয়ে বাংলাদেশ এখন একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। এখন অর্থনীতি, উন্নয়ন প্রশ্নই সর্বাগ্রে গুরুত্ব পাবে। উন্নয়ন প্রশ্নে সীমানায় আটকে থাকার আর সময় নেই। বাংলাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্বও অপরিসীম। এই গুরুত্ব অন্যরা বুঝতে পারছে। বুঝতে পারার সময় এখন আমাদেরও।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার চীনমুখে যে অভিযাত্রা শুরু করেছেন, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করে শেখ হাসিনা যে কৌশল অবলম্বন করছেন তাতে কারও বিরাগভাজন হওয়ার কারণ নেই।’

‘অনেকেই চীনকে গুরুত্ব দেয়ায় সমালোচনা করছেন। এই সমালোচনা অহেতুক মনে করছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিল। তাই বলে কি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করেনি। যুক্তরাষ্ট্রও তো গুরুত্ব পায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, বাণিজ্যে। তাহলে চীনের বেলায় আপত্তি কেন? বড় রাষ্ট্রগুলোকে গুরুত্ব দিতে হয় নিজেদের স্বার্থেই। শেখ হাসিনা সে স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এই বিশ্লেষক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে কূটনৈতিক প্রশ্নে সুইজারল্যান্ডের নীতি অবলম্বন করার কথা বলেছিলেন। বিশ্বযুদ্ধে সুইজারল্যান্ড কোনো পক্ষ অবলম্বন করেনি। কারও বিরোধিতাও করেনি। এটি শান্তির পক্ষে অবস্থান। দুঃখজনক হলো, বঙ্গবন্ধু সেই নীতি বাস্তবায়নের সুযোগ পাননি। আমরা চাই, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুক এবং সেটা নিজেদের স্বার্থেই।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2