avertisements 2

দেড় মাস বয়সী মেয়ের হাসিমুখ দেখা হলো না মনিরুজ্জামানের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৮ এএম, ৪ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৫

Text

চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফেরণের আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে নিহত কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী নার্সিং অফিসার মনিরুজ্জামান মনিরের (৩০) গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

মনিরুজ্জামানের মা শরীফা বেগম ছেলের শোকে বার-বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। তিনি বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে মনিরুজ্জামানের সাথে মোবাইলে তার শেষ কথা হয়। ওই সময় মনিরুজ্জামান বলেন, ১৫ দিন পর তার সিঙ্গাপুর প্রবাসী সেজো ভাই লুৎফুর রহমান বাড়িতে এলে তিনি আসবেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়িতে এক সপ্তাহ থাকবেন। পরিবারের সবাইকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আনন্দ করার কথাও জানিয়েছিলেন। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতালে নেয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভয়াবহ বিস্ফেরণের ঘটনায় তার পরিবারে এখন বিষাদের ছায়া।

মনিরুজ্জামান নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাইয়ারা গ্রামের মৃত- মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের চার ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। চার বছর আগে পটুয়াখালীর মেয়ে মাহমুদা আক্তার মুক্তাকে পছন্দ করে বিয়ে করেন তিনি। সাত বছর আগে মনিরুজ্জামান বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে সহকারি নার্সিং অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ফুলবাড়িয়া হেড অফিসে কর্মরত ছিলেন। দুই মাস আগে চট্রগ্রামের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করেন।

সরেজমিনে জানা যায়, বিয়ের দুই বছর পর মনিরুজ্জামানের প্রথম সন্তান জন্মের সময় মারা যায়। এরপর দেড় মাস আগে জান্নাতুল মাওয়া নামে এক মেয়ের পিতা হন তিনি। তবে কাজের চাপে এ পর্যন্ত সন্তানের মুখ দেখার সুযোগ হয়নি তার। এরমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পৃথিবী ছাড়তে হলো তাকে। দেখা হলো না মেয়ের হাসি মুখ।

মনিরুজ্জামানের খালাতে ভাই সিঙ্গাপুর প্রবাসী এ এস এম মানিক বলেন, আমার খালু অনেক কষ্ট করে ছেলেদের লেখাপড়া করিয়েছেন। তাদের ভিটে-মাটি বলতে কিছু নেই। মনির পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর স্বপ্ন দেখেছিল ছিল। কিন্তু তার এভাবে চলে যাওয়ায় সব শেষ হয়ে গেল। মানিক বলেন, আমার খালাতো ভাই দেশের মানুষের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মারা গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2