avertisements 2

টাঙ্গাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভেঙে ফেলা হলো, বাসিন্দাদের মানবেতর জীবনযাপন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৪ এএম, ২ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫

Text

 টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বর এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। বছর না যেতেই বড় বড় ফাটল, জীর্ণ দশা আর বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় এসব ঘর ভাঙা হয়েছে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বাসিন্দারা।

এ ছাড়াও ওই আশ্রয় কেন্দ্রের অন্য ঘরগুলোতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও নানা অনিয়মের কারণে ঘরগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সরজমিনে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৭৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৌরিশ্বর এলাকায় ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪৪টি ঘর। কিছুদিন যেতে না যেতেই ঘরগুলোতে দেখা দেয় ফাটল।

এতে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেও মাটির সমস্যার কথা বলে পাশ কাটিয়ে যায় প্রশাসন। পরবর্তীতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবারও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।

গণমাধ্যমের কাছে ঘরের বিষয় তুলে ধরায় ভুক্তভোগীদের নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘর ভেঙে ফেলা আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা মাজেদা বেগম জানান, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পর ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দেয়। এরপর নতুন করে ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন ঝড়-বৃষ্টির মাঝে গাছের নিচে ছাপড়া তুলে থাকতে হচ্ছে।

শরিফা বেগম নামে আরও একজন বলেন, নতুন করে ঘর তৈরি করে দেবে বলে আমাদের ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভাঙার পর ঠিকমতো কাজও করতে আসে না লোকজন। অন্যের ঘরের বারান্দা ও রান্না ঘরে থাকতে হচ্ছে। খুব কষ্টে আছি।

খুকি বেগম নামে অন্য আরেকজন বলেন, আমার ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছি। কাউকে যেন কিছু না বলি এ জন্য অফিসার এসে খুব রাগারাগি করেছেন।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল বলেন, মাটির কারণে কয়েকটি ঘরে সমস্যা থাকায় তা ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2