avertisements 2

পূজামণ্ডপে অঘটন ঘটানো সেই ইকবাল এখন কোথায়?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪৫ পিএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫

Text

কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘিরপাড় এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননার খবরে নগরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এ ঘটনায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, মন্দির ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার ঘটনায় ১২, চাঁদপুরের ঘটনায় ১০ ও বেগমগঞ্জের ঘটনায় ২৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তিন শতাধিক ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন।

কুমিল্লার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদাটি কাঁধে নিয়ে চলে যান। ফুটেজে পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে, ইকবাল কীভাবে মাজারের মসজিদ থেকে কোরআন হাতে নিয়ে পূজামণ্ডপে গেছেন। পরে মাজারের খাদেমসহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানানো ইকরামকে গ্রেফতার করা হয়।

২৩ অক্টোবর কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে চার জনকে হাজির করা হয়। পরে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল। ২২ অক্টোবর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তাকে কুমিল্লায় আনা হয় এবং সেখানে পুলিশ লাইনসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেদিন মাজারের দুই খাদেমের সঙ্গে কথা বলে কোরআন নিয়ে যান বলে জানান ইকবাল।

বর্তমানে ইকবাল কোথায়? মামলাগুলোর তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে অনুসন্ধান হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কুমিল্লায় সহিংসতার ঘটনায় হওয়া ১২ মামলার তদন্তের তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। আসামিদের আদালতে হাজিরা দেওয়া এবং কারাগারে যাওয়ার মধ্যেই তদন্তকাজ সীমাবদ্ধ। নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনায় জড়িতদের পেছনে কারা রয়েছেন, অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে তাদের দাবি, মামলার তদন্তে অগ্রগতি আছে। সে অগ্রগতি কি তা জানাতে পারেননি তারা।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2