নাটোরে রুই মাছের পেটে মিললো স্বর্ণের চেইন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৮ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
এ যেন রূপকথাকেও হার মানায়। রূপকথায় স্বর্ণের মাছ কিংবা স্বর্ণের ডিম পাড়ার গল্প শুনেছেন নিশ্চয়ই। তবে বাস্তবে মুরগি থেকে স্বর্ণের ডিম না মিললেও মাছের পেট থেকে ঠিকই পাওয়া গেছে স্বর্ণের চেইন।নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াস মিস্ত্রিপাড়ার এক গৃহবধূ মাছের পেট থেকে স্বর্ণের চেইন পেয়েছেন।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে মিস্ত্রিপাড়া এলাকার সুশান্ত সরকারের বাড়িতে।সুশান্ত সরকার পেশায় একজন স্বর্ণকার। তার ভাষ্যমতে, আজ সকালে বাজার থেকে তিনি দুটি রুই মাছ কিনে বাড়িতে আনেন। কাটার পর একটি মাছের পেট থেকে একটি স্বর্ণের চেইন পান তার স্ত্রী চন্দনা রানী। চেইনটি পরে ওজন করে দেখা যায় চার আনা।সুশান্ত
সরকারের স্ত্রী চন্দনা রানী বলেন, মাছের পরিত্যক্ত অংশ ফেলতে গিয়ে তিনি নাড়ির মধ্যে চেইনটি জড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।ডাহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জাগো নিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মাছের পেটে স্বর্ণের চেইন পাওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক। খাবারের সঙ্গে মাছটি হয়তো চেইনটি খেয়ে ফেলেছে।
আরও পড়ুন=প্রতিষ্ঠার তিন দশকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্পনগরীতে। পানি নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা এবং রাস্তাগুলো সরু ও খানাখন্দে ভরা। এতে শিল্পনগরীর উদ্যোক্তারা বিপাকে পড়েছেন। ১৫ একর জমির ওপর ১৯৮৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা করা হয়। পৌরশহরের অদূরে গোবিন্দনগর এলাকায় ৫৩টি শিল্প ইউনিটের বিপরীতে ১০৫টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।যেখানে এখনো ফাঁকা রয়েছে ৩টি প্লট। জুটমিল, আটা-ময়দা, সাবান, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ ছোট ও মাঝারিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব, অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জলাবদ্ধতাসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো উৎপাদন
কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।অর্থের অভাবে ১২ জন উদ্যোক্তা তাঁদের প্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পারেননি। চাহিদা মতো ব্যাংক লোন পাওয়া যায় না, এর ওপর চড়া সুদ। এসব কারণে লোকসানে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে শিল্পনগরী এলাকার ভেতরের রাস্তা খানাখন্দে ভরা। জরাজীর্ণ নর্দমাগুলো দিয়ে পানিনিষ্কাশন হয় না। আর এসব কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তারা।উদ্যোক্তারা বলেছেন, শিল্পনগরে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিসিকের অভ্যন্তরে রাস্তাঘাট খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে উৎপাদিত পণ্য পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। পরিবহন খরচও বেশি গুনতে হচ্ছে। আর সব মিলিয়ে এখানকার কারখানাগুলোতে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।