avertisements 2

১৪ বছরে রুহুল আমিন  দিয়েছেন ৬১ অসহায় মেয়ের বিয়ে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৩ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

বলো কি তোমার কি ক্ষতি, জীবনের অথৈ নদী, পার হয় তোমাকে ধরে দূর্বল মানুষ যদি, হ্যাঁ এমন একজন মানবিক মানুষ রুহুল আমিন রুবেল। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন সরকারের ছেলে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা জনপ্রতিনিধি নন, তিনি এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অথচ মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা আর ভালো কাজের মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন একজন আলোকিত মানুষ। গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফোটানোই তার স্বপ্ন।

গত ১৪ বছরে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের অন্তত ৬১ জন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজে। ধনী কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের আর পাঁচটা মেয়ের যেভাবে ধুমধামে বিয়ে হয়, ঠিক সেইভাবে নিজ খরচে এসব অসহায় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে থাকেন রুহুল আমিন।

শুধু বিয়ে দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ নয়, বিয়ের পর ওইসব দম্পতিকে নিজের সাধ্যমতো সহযোগিতাও করে থাকেন। এছাড়া প্রতি শুক্রবার গরিব অসহায়দের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাবার, পোশাক, নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন। তাই একটু ভালো খাবারের আশায় শুক্রবারের জন্য অপেক্ষায় থাকেন এলাকার গরিব অসহায় মানুষ। সেই খাবার হাসিমুখে তুলে দেন তিনি। এমনকি গরিব ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ জোগান দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান।

আর্থিকভাবে ততটা সচ্ছল নন রুহুল আমিন। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি আর নিজের গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি এমন জনহিতকর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজ এলাকায় বিএম মোবাইল হাউস, বিএম লেডিস কর্নার নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, নাফিজা (১৮) নামে এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করেছেন তিনি। নাফিজা রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার শ্যামপুর নগরবাড়ী এলাকার দিনমজুর আব্দুল খালেকের মেয়ে। সচ্ছল পরিবারের মেয়েদের যেমন ধুমধামে বিয়ে দেওয়া হয়, ঠিক তেমনভাবেই নাফিজা খাতুনের বিয়ে দিয়েছেন তিনি।

রুহুল আমীন রুবেল জানান, পড়াশোনা শেষ করার পর কোনো চাকরির চেষ্টা করেননি তিনি। ব্যবসার প্রতি আগ্রহের পাশাপাশি নিজ এলাকার গরিব অসহায় মানুষের যেন সেবা করতে পারেন সেজন্য এলাকার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেননি তিনি। পড়াশোনা শেষ করে একটি হার্ডওয়্যার ও ওষুধের দোকান করেন। সেখানকার আয় দিয়ে সংসার চালিয়েছেন এবং গরিব অসহায়দের সাহায্য করেছেন।

বড়াইগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী জানান, নিঃস্বার্থভাবে রুহুল আমিন যেভাবে দরিদ্র মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এটা সত্যিই প্রশংসার। তার মতো এভাবে যদি সমাজের বিত্তশালীরা মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন তাহলেই দেশটা সোনার বাংলা হয়ে উঠবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2