avertisements 2

খুলনায় ইউপি নির্বাচনে চমক দেখালেন রুটি বিক্রেতা রিক্তা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

খুলনা জেলায় ফুলতলায় রাস্তার পাশের ঝুপড়ি ঘরের রুটি বিক্রেতা রিক্তা ইসলাম এখন ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে সদস্য (ইউপি মেম্বার)। গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত খুলনার ফুলতলা সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি বক প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। এরআগে, ৬ বছর ধরে ফুলতলা উপজেলা সদরের গরুরহাট এলাকায় রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে রুটি বানিয়ে বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন রিক্তা ইসলাম।

ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রামের টাইলস শ্রমিক ইমরান শেখের সঙ্গে ১০ বছর আগে বিয়ে হয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রিক্তার। তার বাবা গরুরহাট এলাকার চায়ের দোকানদার লিয়াকত খা। বিয়ের পর রিক্ত নিজেই গরুর হাট এলাকায় একটি ঝুপড়িঘরে রুটি বানিয়ে বিক্রি শুরু করেন। তাদের একমাত্র মেয়ে তাবাচ্ছুম বুশরা (৭) একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। কোনো কাজই ছোট নয় বলে মনে করেন এই নারী। তাইতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরও যথারীতি দোকানে রুটি বানিয়ে বিক্রি করছেন। তবে আগের চেয়ে ক্রেতা এখন একটু বেশি। রিক্তার বিপক্ষে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তারা বেশ প্রভাবশালী। কিন্তু ভোটের মাঠে সবাইকে পরাজিত করেছেন রিক্তা।

রিক্তা এলাকার সবার দোয়া ও সহযোগিতায় নির্বাচনে জিতেছে। ৬ প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় হওয়া মাহবুদা ইসলাম নিপা একটু সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রশাসন তার সমাধান করে দিয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। এলাকার মানুষ ভালোবেসে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তার প্রতিদান দিতে পারে সেজন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রিক্তা বলেন, আমার মতো গরীব মানুষকে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের কাছে আমি চির ঋণী। নির্বাচনে আমার জয়ী হওয়াটা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থী। তিনি ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে তার প্রতিদান দিতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। 

 স্থানীয়রা জানান, পয়গ্রাম-তাজপুর এলাকার অসহায় মানুষেরা প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত থাকায় রিক্তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। তাকে উৎসাহ দিয়ে সহযোগিতা করেন বাবা লিয়াকত খাঁ ও সাবেক ইউপি সদস্য মোল্লা হেদায়েত হোসেন লিটু।

রিক্তা ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আমি নির্বাচিত হতে পেরেছি। আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার রাজনীতি হবে এলাকার উন্নয়ন ও অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা। আর অবহেলিত বস্তিবাসীর উন্নয়ন করা।’ফুলতলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘রিক্তা ইসলাম তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ২৮৩ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2